Breaking: দিল্লি যাচ্ছেন মুকুল, সঙ্গে সব্যসাচী

দিল্লি যাচ্ছেন মুকুল রায়। সঙ্গে যেতে পারেন সব্যসাচী দত্ত।

সূত্রের খবর, বাংলার বিধানসভা ভোটকে মাথায় রেখে মোদি এবং অমিত শাহ মন্ত্রিসভায় রদবদল করবেন। এখানে মুকুল মন্ত্রী হতে পারেন। সম্ভবত কয়লামন্ত্রী। এই অবস্থায় মুকুলের দিল্লিসফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে। জানা গেছে, অমিত শাহ মুকুলকে দিল্লিতে আসতে বলেছেন।

একটি শিবির বলছে, মন্ত্রিত্ব নিয়ে চূড়ান্ত ইঙ্গিত মুকুল এবার পেয়ে যাবেন। তবে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার করোনা হওয়ায় মন্ত্রিসভা রদবদল পিছিয়েই যাবে। কারণ সিন্ধিয়ার অন্তর্ভুক্তি এবার বড় উদ্দেশ্য।

অন্য সূত্র বলছে, কিছুদিন আগেই মুকুল দিল্লিকে একটি বার্তা পাঠিয়ে বলেন তাঁকে বিজেপির দরকার কিনা বা নির্দিষ্ট কোনো কাজ দেওয়া হবে কিনা জানাক। অন্যথায় তাঁকে নিজের মত ভাবতে দেওয়া হোক। এর পরেই দিল্লি তাঁকে যেতে হবে। কটা দিন মুকুল যাননি। এবার যাচ্ছেন। তিনি স্পষ্ট করে বুঝে আসবেন দিল্লি তাঁর কাছে কী চায়। মুকুল কথা বলবেন জে পি নাড্ডা, অমিত শাহ, রাম লাল, শিবপ্রসাদ, কৈলাশের সঙ্গে। স্বপন দাশগুপ্তকে মনের কথা খোলাখুলি জানাবেন তিনি।

বিজেপির দিল্লি সূত্রে খবর, এতদিন মুকুলকে বড় কোনো পদ দেওয়া হয়নি। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের সময় আর ফেলে রাখা যাবে না। ফলে গুজরাট বা উত্তরপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভায় আনার অঙ্কে ভরসা রেখে আপাতত মন্ত্রী করে দেওয়া হবে। মুকুলের ক্ষেত্রে পূর্ণমন্ত্রী দিতে হবে। কারণ রাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়াটা অপমানজনক তাঁর পক্ষে। সংগঠনে দিলীপ ঘোষই শেষ কথা। মুকুলকে মন্ত্রিত্ব দিয়ে আপাতত নিজেদের শিবিরে সক্রিয় রাখা হবে।

এদিকে লক্ষ্যণীয়, এতদিন উপেক্ষিত থাকায় ক্ষুব্ধ মুকুল নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন। বিজেপিতে তাঁকে সেভাবে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। লকডাউন বা আম্ফানে একাধিক বিজেপি নেতা ত্রাণ দিতে গিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন। মুকুল সেই পথে যাননি। এমনকি অমিত শাহের ভার্চুয়াল জনসভায় অমিত এবং দিলীপ ঘোষরা যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধনা করেছেন, মুকুল সেই পথে যাননি। তিনি শুধু নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে তৃণমূলের সমালোচনার লাইন এড়িয়ে গিয়েছেন।

এই মুহূর্তে যা অবস্থা, তাতে বিজেপির কিছু আসন বাড়লেও রাজ্যে পটবদলের ইঙ্গিত নেই। সেটা মুকুল জানেন। আবার একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে কেন্দ্রের পছন্দমত মন্ত্রিত্ব পেলে তা অস্বীকার করার ভাবনাতেও মুকুল নেই। আপাতত একটি সময় ও স্নায়ুর লড়াই চলছে।

প্রশ্ন হল, সবাই যখন বুঝছে বিধানসভা আসছে বলেই এতদিন ফেলে রাখার পর মুকুলকে মন্ত্রিত্ব দেওয়ার কথা ভাবছে দিল্লি, তখন মুকুল নিজে কী ভাববেন? পূর্ণমন্ত্রিত্ব এবং কাজ দেখানোর মত একটি দপ্তর ছাড়া মুকুলের লাভ কম। রেল, নিদেনপক্ষে কয়লা বা গ্রামোন্নয়ন; এছাড়া তেমন দপ্তর কোথায় যেখানে বাংলার উপর ছাপ ফেলা যাবে। মুকুল গোটা বিষয়টার এসপার ওসপার করে আসতে চান।
উল্লেখ্য, এর মধ্যে বিবেচনায় রাখতে হচ্ছে আরও দুএকটি জরুরি বিষয়।

এদিকে সব্যসাচী দত্তকে যেভাবে শ্রীভূমিতে একদল যুবক লাঞ্ছিত করেছে, সেই ঘটনায় তৃণমূলের ভাবমূর্তির ক্ষতি হয়েছে। সেই সঙ্গে বিজেপিতে সব্যসাচীর গুরুত্ব বেড়েছে বলেই দলীয় সূত্রের খবর। এই ভিডিওটিতে সাধারণ মানুষের সহানুভূতি পুরোপুরি সব্যসাচীর দিকে গিয়েছে বলেই দলের ধারণা। এই অবস্থায় সব্যসাচীর মুকুলের সঙ্গে দিল্লি যাওয়ার খবর যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী।

 

Previous articleBREAKING: আর্টিস্ট’স ফোরামের কার্যকরী সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন শঙ্কর চক্রবর্তী
Next articleসুন্দরবনে ত্রাণ: বস্টনে থেকেও বাংলার পাশে অভিজিৎ বিনায়ক