অকৃতজ্ঞ রাজনীতির বলি: পি ভি নরসিংহ রাও

আজ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিংহ রাওয়ের জন্মদিন। আজ তিনি প্রয়াত। একরাশ অভিমান নিয়ে উপেক্ষিত, অপমানিত রাও বিদায় নিয়েছেন।

অথচ এই নরসিংহ রাও একটা সময়ে কংগ্রেসের মান ইজ্জত বাঁচিয়েছেন। দেশকে সমৃদ্ধ করেছেন।

রাজীব গান্ধী যখন নিহত হন, নরসিংহ রাও তখন অবসরের মুডে। বিরাট পণ্ডিত দক্ষিণী এই সফল নেতাকে কংগ্রেস ঐকমত্যের প্রার্থী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী করে। দলের সভাপতিও করে।

পাঁচ বছরের পুরো মেয়াদ সংখ্যালঘু সরকার চালান নরসিংহ। সাফল্যের সঙ্গে।

বামেদের সমর্থন জরুরি। অথচ মনমোহন সিংকে অর্থমন্ত্রী করে এনে সংস্কারের সাহসী দরজা খুলেছিলেন রাওই।

দলে সাংগঠনিক নির্বাচন শুরু করা থেকে বহু কাজ করেছিলেন।

কিন্তু কংগ্রেসের গোষ্ঠীবাজি সামলাতে পারেননি।

যে মানুষটি পাঁচ বছর ভারসাম্যের খেলায় সংখ্যালঘু সরকার চালিয়ে কংগ্রেসের মুখরক্ষা করলেন, ১৯৯৬ সালে সরকার পড়ে যেতেই দলের অনেকে নখদাঁত বার করলেন।

প্রতিপদে অপমানিত হলেন রাও।
পেলেন না গান্ধীবাড়ির সমর্থন।
একসময়ে যে সীতারাম কেশরী রাওয়ের পায়ে মাথা ছোঁয়াতেন, রাওকে সরিয়ে তিনিই হলেন সভাপতি।

দুর্নীতির অভিযোগের কলঙ্ক লাগল রাওয়ের গায়ে। আদালত কারাদণ্ড দিল। সময়মত জামিন না মিললে কপালে অশেষ দুঃখ ছিল।

শেষ পর্যন্ত কোণঠাসা, মূলস্রোতের বাইরে ছিলেন পিভি নরসিংহ রাও। অমন পণ্ডিত, দক্ষ রাজনীতিবিদের শেষ পরিণতি ছিল চোখের জলে ভেজা।

আজও কংগ্রেস তাঁকে প্রাপ্য সম্মান ও স্বীকৃতি ফিরিয়ে দেয়নি। স্মৃতিচারণটি থাকে রুটিনমাফিক। সম্ভবত গান্ধী পরিবারের বাইরের প্রথম পুরো মেয়াদের কংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রীকে যোগ্য সম্মান দিতে অনেকের আপত্তি ছিল। রাও-ও গান্ধীবাড়ির ঘনিষ্ঠদের অঙ্গুলিহেলনে চলতে রাজি ছিলেন না। তাঁর সময়টা ছিল এক বিচিত্র অধ্যায়।

Previous articleইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলা নিয়ে উদ্যোগী মমতা , প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিরোধী নেতা সুজন
Next articleমানুষের সেবা না করে নিজের সেবা করলে তৃণমূলে ঠাঁই নেই, কড়া বার্তা ফিরহাদের