উত্তর ২৪ পরগণার বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়ি লক্ষ্য করে পরপর ৬টি বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। আজ, মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ভাটপাড়া এলাকায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। অর্জুনের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় বোমার চিহ্ন মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। উত্তেজনা যাতে নতুন করে না ছড়ায়, তার জন্য এলাকায় চলছে পুলিশি টহলদারি। অর্জুনের বাড়ির পাশে বসেছে পুলিশ পিকেট।
বিজেপির দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীর এই ঘটনা ঘটিয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, এই ঘটনা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।
উল্লেখ্য, দু’দিন আগেই গত রবিবার বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হালিশহর। ওই ঘটনায় বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং অভিযোগ করেন যে, হালিশহরে বৈঠক করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ই তৃণমূলের কিছু সমর্থক এসে তাঁর গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। যদিও রাজ্যের শাসক দলটির তরফে অর্জুনের তোলা সব অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা গেরুয়া দলের বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসের অভিযোগ করা হয়।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং নিজেই প্রথমে এই ঝামেলার সূত্রপাত ঘটান। ঘাসফুল শিবিরের অভিযোগ, রাজ্যে সন্ত্রাসের রাজনীতি করতে চাইছে বিজেপি। স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুবোধ অধিকারী বলেন, বিজেপি সাংসদই ওই আক্রমণে প্ররোচিত করেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিজেপি কর্মীরাই প্রথমে হালিশহরে থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় এবং সেখানে আগুন লাগিয়ে দেয়। বিজেপির হামলায় দলীয় দুই সমর্থককে আহত হন বলেও অভিযোগ।
এবার সেই ঘটনার কয়েক ঘন্টা কাটতে না কাটতেই ফের উত্তেজনা অর্জুন সিংকে কেন্দ্র করে। এবার তাঁর বাসভবন লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ উঠলো। প্রসঙ্গত, গত বছর লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে রাজনৈতিক হিংসা, বোমাবাজিতে, খুনোখুনিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাটপাড়া-কাকিনাড়া-হালিশহর-বীজপুর চত্বর, যার রেশ চলছে এখনও।