ইস্টবেঙ্গলকে বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চলছে।
কোয়েস খেলার রাইটস ফেরতের পর দেবব্রত সরকারের বক্তব্য,” মুখ্যমন্ত্রীর উপর আমরা সব ছেড়ে দিয়েছি। উনি দেখছেন।” সংবাদমাধ্যমে এই সংলাপে চাঞ্চল্য তুঙ্গে। জানাই ছিল বিষয়টা। আনুষ্ঠানিক হল।
ইস্টবেঙ্গলের বড় অংশের সমর্থকরা খুশি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মসিহা হিসেবে পাশে।
অন্যদিকে বিশেষভাবে দুটি ক্লাবে আক্ষেপ।
মোহনবাগান মনে করছে তারা নিজেদের জোরে যে ব্যবস্থা করেছে, রাজ্য সরকার এইভাবে পাশে থাকলে গোয়েঙ্কাদের সঙ্গে আরেকটু দরাদরি করা যেত।
আর মহমেডান মনে করছে তাদের আই লিগ খেলতেও তো সরকার মদত দিচ্ছে না। মহমেডান কি উপেক্ষার বস্তু?
তবে ইস্টবেঙ্গল ইতিবাচক দিক দেখছে।
দিল্লির ফুটবল হাউস সূত্রের খবর, আপাতত দুটি দিক দেখছেন মমতা।
প্রথমত লগ্নিকারী মূল সংস্থা। মমতা রিলায়েন্সকে বলেছেন। অন্যদিকে প্রসূন মুখোপাধ্যায়ের ইউএসইএলের সঙ্গে কথা চলছে। যে কোনো একটি ম্যাচিওর করবে।
দ্বিতীয়ত, রাজ্য সরকারি কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে দিয়ে ইস্টবেঙ্গলে টাকা দেওয়া। এতে জনস্বার্থ মামলার ভয় আছে। আর্থিক সংকটের সময়ে এই কাজ করলে প্রশ্ন উঠবেই। একাধিক আমলাও শঙ্কিত।
তবে বাংলার একটি ক্লাবের মঙ্গল হলে তাতে বাধা আসবে কেন, সেই কথাও উঠছে।
সব মিলিয়ে এটা পরিষ্কার, ইস্টবেঙ্গলের ভবিষ্যতের লাগাম নিজের হাতেই রাখতে চান মমতা। আর সেটাই এখন ক্লাবের ভরসা।