১১ বছরের পুরনো দুই মামলায় ছত্রধরকে ফের নোটিশে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য

ছত্রধর মাহাতোকে এনআইয়ের নোটিশ। প্রায় ১১ বছরের পুরনো দুটি মামলা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে এনআইএ ফের মামলার খাতা খুলেছে।

পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগে ২০০৯ সালে ভূবনেশ্বর-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস ঝাড়্গ্রামে ‘হাইজ্যাক’ করার অভিযোগ ছিল জনসাধারণের কমিটি বা পিসিএপিএ-র বিরুদ্ধে। জনসাধারণের কমিটির সঙ্গে মাওবাদীদের যোগাযোগ থাকার অভিযোগও ছিল। এপ্রিলেই স্বরাষ্ট্র দফতর এনআইএকে এই মামলার দায়িত্ব দেয়। মূল মামলাটি ছিল ঝাড়্গ্রাম থানায়, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ ও ১২১এ ধারায় দেশ বিরোধী কাজের অভিযোগ যা ইউএপিএ-র ১৫সি ধারায় মামলা হয়। এনআইএ মামলা হাতে নিয়ে ১২০, ১২০এ, ৫০৬, ৩৪১, ১৪৮ ধারায় মামলা সাজিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। মূল এফআইআর-এ সন্ত্রাস সংক্রান্ত অভিযোগ না থাকলেও এনআইএ ইউএপিএ ধারা প্রয়োগের কথা ভাবছে। ফলে এই মামলার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার বা রাজ্য পুলিশের কোনও অনুমতির প্রয়োজন নেই।

বৈঠক সেরে ফেরার পথে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভাট্টাচার্যর যাত্রাপথে মাইন বিস্ফোরণ ঘটানো হয় কাঁটাপাহাড়িতে। অল্পের জন্য রক্ষা পান মুখ্যমন্ত্রী। সিআইডি ২০০৯-এর ২৬ সেপ্টেম্বর ছত্রধরকে এই ঘটনার চক্রান্তকারী হিসাবে গ্রেফতার করে। ঠিক এক মাসের মাথায় ছত্রধরের মুক্তির দাবিতে ঝাড়্গ্রামের বাঁশতলা স্টেশনে রাজধানী এক্সপ্রেস হাইজ্যাক করা হয়। জনসাধারণের কমিটির প্রায় ৫০০ সদস্যর সঙ্গে সশস্ত্র ২৫জন মাওবাদী ছত্রধরের মুক্তির দাবিতে প্রায় ৫ ঘন্টা ট্রেন কব্জা করে রাখে। চালক ও সহকারী চালককে অপহরণ করা হয়। পরে সিআরপিএফ পৌঁছলে ট্রেন ফেলে সকলে পালায়।

বিগত কয়েক বছর ধরে এনআইএ মাও সম্পর্কিত মামলাগুলির তদন্ত করছে। কারা তাদের অর্থ জোগাত, কারা তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল, কারা পিছন থেকে সাহায্য করত, তা তদন্তে তুলে আনতে চাইছে। সেই সঙ্গে বৃহৎ চক্রান্তেরও তদন্ত চলছে। সেই মামলার সঙ্গেই লালগড়ে সিপিএম নেতা খুনের মামলাও উঠে এসেছে। এই মামলায় ছত্রধর সহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট হয়। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই চাপে রাখার কৌশল হিসাবেই ছত্রধরকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে ধারণা। শুক্রবার আদালতে নথিও জমা পড়েছে। ভোটের আগে মামলার গতি প্রকৃতির উপর সকলেরই নজর থাকবে।

Previous articleসরকারি হাসপাতালে ভিডিও কলে ভাইরাস আক্রান্ত রোগী কথা বলতে পারবেন পরিজনদের সঙ্গে!
Next articleএবার রাজ্যে করোনায় একদিনে সর্বাধিক মৃত্যুর রেকর্ড, জানেন সংখ্যাটা কত?