দুই দেশের মৎস্যজীবীদের ত্রাস, পুলিশের জালে জনাব

জনাব বাহিনী এই নামটাই আতঙ্কের সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট। সুন্দরবন অঞ্চলে মৎস্যজীবীদের ত্রাস হয়ে উঠেছিল ওই বাহিনী। ওই বাহিনীর পান্ডা জনাব বাইন ওরফে সুমন সর্দারকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

পুলিশ খবর, সুন্দরবনের মৎস্যজীবীদের টার্গেট করতেন জনাব। জঙ্গলের খাঁড়ি, নদীপথে ভারত-বাংলাদেশের মৎস্যজীবীদের উপরে হামলা চালানো হতো। মাছ, কাঁকড়া, মধু লুট করত তাঁদের থেকে। এমনকী অপহরণ করে মুক্তিপণও আদায় করা হতো। দিন কয়েক আগে জনাব বাংলাদেশের কয়েকজন মৎস্যজীবী কে অপহরণ করে। আটকে রাখে তাঁদের নৌকা। ৭ লক্ষ টাকা মুক্তিপণও আদায় করে জনাব ও তাঁর দল।

এই ঘটনার পরে তৎপর হয় বাংলাদেশের পুলিশ। জানা গিয়েছে জনাব তাঁর দলবল নিয়ে ভারতে গা ঢাকা দেয়। বাংলাদেশ পুলিশের থেকে খবর অভিযানে নামে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর উপকূলবর্তী থানায়। তল্লাশি করতে গিয়ে হেমনগরের বাসিন্দা ইউসুফ সর্দার এবং বাংলাদেশের শ্যামনগরের বাসিন্দা ফারুক গাজিকে আটক করে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জনাবের বসিরহাটের ঠিকানা মেলে। কিন্তু নাম মেলাতে পারছিল না পুলিশ। পরে বোঝা যায় সুমন নামে বসিরহাটে থাকতেন তিনি। রবিবার রাতে বসিরহাটের ধলতিথা থেকে গ্রেফতার করা হয় জনাবকে।পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষিরায়। নাম ভাঁড়িয়ে বসিরহাটে থাকতেন তিনি। এমনকী দুই দেশের পরিচয় পত্র আছে তাঁর কাছে।

Previous articleপ্রশান্ত ভূষণের শাস্তি ঘোষণা ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেছে সুপ্রিম কোর্ট
Next articleটেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের দোরগোড়ায় ৫৯৯ উইকেটের মালিক জিমি অ্যান্ডারসন, লড়াই জারি পাক অধিনায়কের