ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটারের বেশি বেগে সোমবার ভোররাতে জাপানের দক্ষিণ আছড়ে পড়ল সুপার টাইফুন হাইশেন। জাপানে আছড়ে ধ্বংসলীলা চালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় আছড়ে পড়েছে হাইশেন । ঘণ্টায় ২৮৮ কিলোমিটার বেগে জাপানের দক্ষিণ ও পশ্চিম অঞ্চলে আছড়ে পড়তে চলেছে সুপার টাইফুন আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে সতর্ক ছিল সরকার। তবে চরম আঘাত না হানলেও, ঝড়ের জেরে যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ইতিমধ্যেই। সেখানকার এক নাগরিক জেমস রেনল্ডস এই ঝড়ের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন।
Lashing it down here on Amami Oshima as #typhoon #Haishen closes in pic.twitter.com/2vytxmJagB
— James Reynolds (@EarthUncutTV) September 6, 2020
পূর্ব চিন সাগরে তৈরি হওয়া টাইফুন মেইসাক তিন দিন আগেই আঘাত হেনেছিল দক্ষিণ কোরিয়ায়। সেই ঝড়ের দাপট চলাকালীন জাপান হয়ে হাইশেন ঢুকল সেখানে। সোমবার ভোররাতে কোগাসিমা উপকূলে ঝড়ের দাপটে প্রবল জলোচ্ছ্বাস হয়। ঢেউ ১০-১৫ ফুট উঁচু হয়ে আছড়ে পড়তে থাকে।টাইফুনের জেরে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। বিদ্যুত্ বিহীন বিস্তীর্ণ এলাকা।লন্ডভন্ড চারপাশ।প্রবল বৃষ্টির জেরে বানভাসি একাধিক এলাকা।ঝড়ের ধাক্কায় বাড়ির জানলা, দরজার কাঁচ ভেঙে অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন : শিক্ষারত্ন নিতে অপারগ! পুরস্কার পেয়েও ফিরিয়ে দিলেন শিক্ষক নেতা
জাপানের আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ছিল, সুপার টাইফুন হেইশেন কিয়োশোর উত্তর উপকূলে আঘাত হানবে। তারপর যাবে দক্ষিণের দিকে।বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়া, গাড়ি উড়ে যাওয়া, বাড়ি ভেঙে পড়ার প্রবল আশঙ্কায় তত্পর ছিল বাহিনী। ঝড়ের অভিঘাত আপাতত সামলে নিয়েছে জাপান।আমামি ওসাইমা দ্বীপ কুওয়াসুর মূল ভূ-খণ্ডে জলস্ফীতির জেরে বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ ভেঙেছে।জাপানের উপকূলে বহু ছোট জাহাজ নিখোঁজ। সেগুলো ডুব গিয়েছে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঝড়ের তাণ্ডব এখন চলছে দক্ষিণ কোরিয়ায়।দক্ষিণ কোরিয়ার বুশন শহরের আলসান উপকূলে তাণ্ডব চালাচ্ছে হেইশেন।গণ পরিবহণ বন্ধ সেখানে। ৩০০টি উড়ান আগেভাগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রবল ঝড়ের সঙ্গে চলছে বৃষ্টির দমক। পেনিনসুলা, জেজু-সহ বহু এলাকায় বিদ্যুত নেই।
জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া প্রায়ই সুপার টাউফুনের মুখোমুখি হয়। ভৌগোলিক কারণে বারবার এই দেশগুলোর ওপর টাইফুন আছড়ে পড়ে। ২০১৯ সালে জাপানে টাইফুন হাগিবিসের প্রভাবে অন্তত ৮০ জন মারা গিয়েছিলেন। অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছিলেন। প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।তবে হেইশেনর প্রভাবে এখনও কারও মৃত্যুর খবর মেলেনি। নাবিকদের নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসেব হতে সময় লাগবে।