অভিষেককে ঠেকান এজেন্সি দিয়ে, দিল্লিকে বোঝাচ্ছেন তৃণমূলছুট বিজেপি নেতারা

চাঞ্চল্যকর ষড়যন্ত্রের চেষ্টা সামনে আসছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পথের কাঁটা মনে করছেন বিজেপির একাংশ; মূলত তৃণমূল থেকে যাওয়া কিছু নেতা।

এঁরা দিল্লিকে সর্বশক্তিতে বোঝাচ্ছেন, তৃণমূলের যে সাংগঠনিক ক্ষত আছে, তা পূরণে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কাজ করে যাচ্ছেন। অভিষেকের কাজ অব্যাহত থাকলে বিজেপির বাড়া ভাতে ছাই পড়বে। ফলে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে নামিয়ে অভিষেককে ডিসটার্ব করাতে হবে। এতে তৃণমূলের ভিত নড়বে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ফোকাস থেকে সরানো যাবে।

সূত্রের খবর, নরেন্দ্র মোদি বা অমিত শাহরা প্রথমে এই রণকৌশলে আগ্রহী ছিলেন না। কিন্তু তৃণমূলের থেকে যাওয়া একটা অংশ ধারাবাহিকভাবে দিল্লির নেতাদের এটা বুঝিয়ে চলেছেন। এক নেতা অভিষেকের বাড়ি, দপ্তর, সহকর্মীদের নামসহ রিপোর্ট দিয়েছেন। এই বিষয়ে এঁদের সহযোগিতা করছেন অধুনা প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে থাকা এক অফিসার। ইনি এক প্রাক্তন তৃণমূল নেতা এবং এক আই পি এসের সেতুবন্ধন করছেন।

আরও খবর, কলকাতা সিজিও থেকে স্পষ্টভাবে দিল্লিকে জানানো হয়েছে কোনো চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারিতে কোনো ভাবে অভিষেক জড়িত নেই। তার পরেও কিছু বার্তা আসছে। এক এজেন্সির কলকাতার এক শীর্ষকর্তা বৃহস্পতিবার থেকে তিনদিন দিল্লি থাকবেন। এই নিয়ে কথা হবে।

একটি সূত্র বলছে, তৃণমূল থেকে যাওয়া, এমনকি এখনও তৃণমূলের মধ্যে থেকে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলা একটি শিবির স্রেফ নিজেদের অঙ্কে অভিষেককে টার্গেট করে বিষ ঢালছেন। বিজেপির দিলীপ ঘোষ শিবির এর মধ্যে নেই। ঘনিষ্ঠমহলে দিলীপ বলেছেন,” আমি এই এজেন্সিভিত্তিক রাজনীতির বিরুদ্ধে।” কিন্তু অন্য একটি তৎকাল বিজেপির শিবির তাদের দিল্লির নেতাদের মনে এই বিশ্বাস বদ্ধপরিকর করে দিচ্ছেন যে বিধানসভায় জিততে গেলে অভিষেককে দুর্বল করতে হবে। সম্ভাব্য সবরকম নজরদারি এবং পদক্ষেপ দরকার। এঁরা তরুণ সাংসদের উপর নিজেদের রাগটা বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সির উপর ভর করে মিটিয়ে নিতে চান। এর মধ্যে তৃণমূল থেকে যাওয়া পরিচিত বড় নাম সবচেয়ে বিষ ঢালছেন। তাঁকে সমর্থন করছেন এক মন্ত্রী এবং এক সাংসদ। জানা গিয়েছে, এঁরা একটি নোট তৈরি করে অমিত শাহকে দিয়েছেন। তবে তার পর অমিত শাহ কী করেছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।

এর মধ্যে একদা মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহধন্য এক আমলা, যিনি এখন দিল্লির অন্য শিবিরে, তিনি পুরনো কিছু মমতাপন্থীকে বিজেপিপন্থী করার খেলায় সক্রিয়। এক “প্রিয়তম” আইপিএসও এই শিবিরের গুডবুকে চলে গিয়েছেন। এঁদের প্রেসক্রিপশন হল তৃণমূলকে যদি ডিসটার্ব করে দিতে হয়, এখনই অভিষেককে টার্গেট করা দরকার। কারণ অভিষেক যে পদ্ধতিতে দল সাজাচ্ছেন, তাতে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে থাকতে হবে।

বিজেপির একাংশের শীর্ষনেতা ভাবছেন ক্ষমতাদখলের স্বার্থে এই থিওরি নিয়ে ভাবা যেতে পারে। আর তৃণমূলছাঁট তৎকাল বিজেপি নেতারা এই তত্ত্বকে উস্কে দিয়ে নিজেদের ব্যক্তিগত রাজনীতি চরিতার্থ করতে চাইছেন।

একটি সূত্র বলছে, যত চক্রান্তই হোক, এই কুৎসিত রাজনীতি সফল হবে না। আর চক্রান্তকারীদের এইসব কাজ গোপন থাকছে না। তাদের শিবির থেকেই ছিটকে বেরোচ্ছে।

আরও পড়ুন- বেলপাহাড়িতে মাওবাদী খপ্পরে পড়ার অভিযোগ ‘সাজানো’, জানালেন মমতা

Previous articleগাধার দুধের দাম জানেন? জানলে আর কাউকে গাধা বলবেন না
Next articleচলতি মাসেই বেশ কয়েকটি মহাজাগতিক ঘটনার দেখা মিলবে