‘বন্ধু’ নেপালের জমিও এবার গ্রাস করছে চিন!

নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি চিনের দালালি করতে গিয়ে ভারত বিরোধী জিগির তুলছেন। ভারতের ভূখন্ড নিজেদের বলে দেখিয়ে মানচিত্র বানাচ্ছেন। আর তাঁর নিজের দেশের জমিই নিঃশব্দে কবজা করছে চিন! প্রশ্ন উঠছে, ‘বন্ধু’ চিনের কাছে কি পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করেছেন নেপালি প্রধানমন্ত্রী? তাই নেপালের জমি চিন দখল করলেও তিনি নিশ্চুপ। নেপালের সংবাদমাধ্যম ও প্রশাসনিক রিপোর্টে উঠে এসেছে, নেপালের হুমলার লাপচা-লিমি এলাকায় জমি দখল করে অবৈধ নির্মাণ চালাচ্ছে চিন। সেই এলাকার ধারে কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না নেপালি নাগরিকদের।

নেপালি সংবাদমাধ্যম সূত্রে প্রকাশ, সম্প্রতি একটি তদন্ত করেছেন হুমলার অ্যাসিসট্যান্ট চিফ ডিস্ট্রিক্ট অফিসার দালবাহাদুর হামাল। এই তদন্ত রিপোর্ট ৩০শে অগাষ্ট থেকে ৯ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমার মধ্যে তৈরি হয়েছে। সেখানে পরিষ্কার উল্লেখ করা হয়েছে যে চিন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নেপালের জমি দখল করেছে। ওই এলাকা নিজে পরিদর্শন করে রিপোর্ট পেশ করেছেন হুমলার অ্যাসিসট্যান্ট চিফ ডিস্ট্রিক্ট অফিসার। সেখানে চিন ৯টি অবৈধ নির্মাণ তৈরি করছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, দূর থেকে চিনের ওই নির্মাণগুলি দেখা যাচ্ছে। প্রথমে জানা গিয়েছিল ১টি বাড়ি তৈরি হচ্ছে। পরে আরও আটটি তৈরি হতে দেখা গিয়েছে। গোটা বিষয়টির খবর পৌঁছেছে নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও বিদেশমন্ত্রকের কাছে।

তবে নেপালের প্রধানমন্ত্রী এখনও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তাঁর এই নীরব অবস্থান নিয়ে সেদেশেই প্রশ্ন উঠেছে। এরই মধ্যে নেপালের বিরোধী দলগুলি একটি চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেছে, নেপালের বিভিন্ন জেলার ৬৪ হেক্টর জমি কবজা করেছে চিন। ডোলাখা, হুমলা, সিন্ধুপালচক, গোর্খা ও রাসুওয়া জেলার জমি রয়েছে এর মধ্যে। অভিযোগ চিনা কমিউনিস্ট পার্টির তাঁবেদারি করতে গিয়ে নেপালের সার্বভৌমত্বকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছেন নেপালের কমিউনিস্ট প্রধানমন্ত্রী ওলি। অনেকেই বলছেন, তিব্বতের পরিণতি দেখেও কি শিক্ষা হয়নি নেপালের?

আরও পড়ুন-স্কুলের পাঠ্যবই ও কয়েনে ভারতের ভূখণ্ডকে নিজেদের বলে দেখাচ্ছে নেপাল!

 

Previous articleরাজ্যকে কাঠগড়ায় তুলে সংসদে সরব লকেট
Next articleবিহারের ‘ক্যানেল ম্যান’ লঙ্গির পুরস্কার, ট্রাক্টর দিচ্ছেন আনন্দ মহিন্দ্রা