ভারতে কোভিড ভ্যাকসিনের জন্য ৮০ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে প্রস্তুত কেন্দ্র? প্রশ্ন তুলেছেন সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদার পুনাওয়ালা।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। তবে ১৩৫ কোটি জনসংখ্যার দেশে প্রত্যেকের কাছে টিকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ৮০ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে প্রস্তুত? শনিবার টুইট করে প্রশ্ন তুলেছেন সেরাম কর্তা। ট্রায়ালের পর সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হলো প্রচুর সংখ্যায় ভ্যাকসিন প্রস্তুত করা এবং সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
শনিবার দুপুরে হঠাৎই পরপর দুটি টুইট করেন সেরাম ইনস্টিটিউটের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আদার পুনাওয়ালা। তিনি লেখেন, “একটি প্রশ্ন আছে : আগামী এক বছরে ভারতে প্রত্যেকের হাতে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার জন্য ৮০ হাজার কোটি টাকা সরকারের কাছে রয়েছে তো? কারণ ভারতের প্রতিটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে গেলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ওই পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হবে। আমাদের এই চ্যালেঞ্জকে এখন মোকাবিলা করতে হবে।”
পরের টুইটে তিনি লেখেন, “এই প্রশ্ন আমি করছি, কারণ আমাদের এ ব্যাপারে পরিকল্পনাও নির্দেশিকা তৈরি রাখতে হবে। ভ্যাকসিন নির্মাতা বিদেশি ও ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় রেখে এখন থেকেই টিকা সংগ্রহ ও বন্টনের পরিকল্পনা করা দরকার।”
I ask this question, because we need to plan and guide, vaccine manufacturers both in India and overseas to service the needs of our country in terms of procurement and distribution.
— Adar Poonawalla (@adarpoonawalla) September 26, 2020
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শেষে কোভিড ভ্যাকসিন বাজারে আসা প্রায় নিশ্চিত। এগিয়ে রয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রতিষেধক ‘কোভিশিল্ড’। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ওই ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল’ চালাচ্ছে। এই ট্রায়াল সফল হলেই দেশের প্রত্যেককে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।
দেশে প্রতিদিন প্রায় ৯০ হাজার মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছেন করোনাভাইরাসে। কাজেই প্রতিষেধকের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশবাসী।
সেরাম ইনস্টিটিউট ভারতে এই ভ্যাকসিন এর দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার ট্রায়ালের দায়িত্বে। দ্বিতীয় পর্যায়ে মানব শরীরের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে ভারত বায়োটেক। আর জাইডাস ক্যাডিলা অপেক্ষা করছে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের অনুমোদনের জন্য।
আরও পড়ুন-দেশের সর্বোচ্চ বিজ্ঞান সম্মানে নাম ছ’জন বাঙালির, ‘ফেলুদা’ আবিষ্কারক পেলেন অ্যাওয়ার্ড