করোনা কাঁটার মধ্যেই জমজমাট পরেশ পালের ইলিশ উৎসব

প্রতি বছরের মতো এ বছরও কাঁকুরগাছিতে ইলিশ উৎসবের আয়োজন করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল৷ এবার ১৬ তম বর্ষে তাঁর ইলিশ উৎসব। করোনা আবহের মধ্যেও পরেশ পাল বিগত বছরগুলোর মতোই ইলিশ উৎসবের মধ্য দিয়ে খাদ্যরসিক মাছে-ভাতে বাঙালিকে তাঁর স্বাদ থেকে বঞ্চিত করেননি। ইলিশ উৎসবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল দুই বাংলার মেলবন্ধন ও মৈত্রির বার্তা।

বিখ্যাত এই ইলিশ উৎসবে পদ্মাপারের ইলিশ নিয়ে মেতেছিল দুইপারের মানুষ৷ এই অনুষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের পক্ষ থেকে ৪০০ কেজি ইলিশ পাঠানো হয়।

পরেশ পালের উদ্যোগে আয়োজিত এই ইলিশ উৎসবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্টজন থেকে আমজনতা। এদিনের ইলিশ উৎসবে হরেক রকম ইলিশ পদে কবজি ডোবালেন সকলেই৷ এবছরও উপস্থিত ছিলেন নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ও কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তাঁর হাত ধরেই অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন হয় এদিন৷

ইলিশ উৎসবে শুরু থেকে শেষ অবধি ছিল ইলিশের নানা সুস্বাদু পদ৷ কাচ্চি বিরিয়ানি, ইলিশের মালাইকারি, সর্ষে ইলিশ, ইলিশ দিয়ে কচু শাক, চালতা দিয়ে ইলিশের টক, ভাজা ইলিশ, খোকা ইলিশের মালাইকারির।

ফিরহাদ হাকিম জানান, যেখানে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে হৃদয়ের সম্পর্ক। অর্থাৎ কৃষ্টি-শিল্প-সংস্কৃতি দুই দেশেরই এক। এপার বাংলা -ওপার বাংলা একে অন্যের পরিপূরক। বাঙালির প্রিয় ইলিশ ইলিশ খেতে কিন্তু বাংলাদেশের উপর নির্ভর করতেই হয়।

আরও পড়ুন-ফুলবাগান মেট্রোর উদ্বোধন, ২০২১-এর মধ্যে ইস্ট-ওয়েস্টের কাজ শেষের প্রতিশ্রুতি

Previous articleপর্ষদের অ্যাড হক কমিটি থেকে ইস্তফা দিব্যেন্দুর
Next articleশান্ত পাহাড়, তবু তার মাঝে হঠাৎ গোর্খাল্যান্ড নিয়ে অমিত শাহর দফতরের বৈঠক