‘ধন্যবাদ মুখ্যমন্ত্রী’, এই হোর্ডিংয়েই ছয়লাপ হবে বাংলা

সুপর্ণা দে : ‘ধন্যবাদ মুখ্যমন্ত্রী’, ঠিক এই হোর্ডিংয়েই ছয়লাপ হতে চলেছে সারা বাংলা। একরকম ‘কল্পতরু’ হয়েই পুজো কমিটিগুলির পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা-লকডাউনের আবহে এবছর কোনোক্রমে পুজো সারতে চেয়েছিলো রাজ্য ও শহরের পুজো সংগঠনগুলি।

কেউ কেউ ভেবেছিল পুজোটা একরকম ছোট করেই করবেন। আবার কোনও সংগঠন ভেবেছিল শুধুই ঘট পুজোর কথা। কেউ তো ঢাকি না আনার সিদ্ধান্তই নিয়েছিল। কেউ আবার তিনটির জায়গায় একটি ঢাকির কথা ভেবেছিল। যেখানে দুর্গাপুজো তৃতীয়া থেকে শুরু হয় তারা ভেবেছিল ঠাকুর অষ্টমীতে নিয়ে এসে পুজো শুরু করার কথা।

কিন্তু সেই আক্ষেপ মানুষের মনে ‘ঠাঁই’ দিচ্ছেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আসন্ন শারদোৎসবে সমস্ত পুজো কমিটিগুলিকে ৫০,০০০ টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর জন্য উপকৃত হয়েছে পুজো কমিটিগুলি। গত বছরও পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান হিসেবে ২০,০০০ টাকা দিয়েছিলেন দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এবছর করোনার কারণে চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেও হাত গুটিয়ে নেননি তিনি। বরং অনুদানের টাকার অঙ্কটা বাড়িয়েই দিয়েছেন।

কয়েকদিন আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করলছিলেন ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক শাশ্বত বসু। আর এবার মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য পুজো কমিটিগুলি নিজেদের এলাকায় দুটো থেকে চারটে করে হোর্ডিং লাগাতে চলেছে। সেই হোর্ডিংয়ে লেখা থাকবে ‘ধন্যবাদ মুখ্যমন্ত্রী’। তার জেরেই এবার শারদোৎসবে রাজ্য ও শহরে ‘ধন্যবাদ মুখ্যমন্ত্রী’ লেখা হোর্ডিংয়ে ছয়লাপ হতে চলেছে। সঙ্গে পুজো কমটিগুলি এও জানিয়েছে, ২০১০ সাল পর্যন্ত কেউ এভাবে পাশে দাঁড়ায়নি।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটিগুলির জন্য ৫০,০০০ টাকা অনুদান ছাড়াও দমকল ও অন্যান্য কর মকুব করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুৎ খরচের শুধুমাত্র ৫০ শতাংশ দিতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন : কনক দুর্গা মন্দিরের সংস্কারে কোটি বরাদ্দ মুখ্যমন্ত্রীর, ঘুরে দেখলেন মন্দির

 

 

Previous articleবিজেপির ‘নবান্ন অভিযানে’ আগ্নেয়াস্ত্র- সহ ধৃত যুবক তেজস্বী সূর্যর ‘সঙ্গী’
Next article”আমি দলিতের মা”, হাথরাসকাণ্ডের প্রতিবাদে মহিলা তৃণমূলের মিছিলে ব্যাপক সাড়া