ত্রিপুরার বিপ্লবের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে দিল্লির দরবারে বিক্ষুব্ধরা

ত্রিপুরায় ৩০ মাসের বিজেপি–‌আইপিএফটি জোটে নতুন অশান্তি। তবে এবার আর জোট শরিক নয়, অশান্তি ঘনিয়ে উঠেছে শাসক বিজেপির অন্দরেই। ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রী বদলের দাবি নিয়ে প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ বর্মনের নেতৃত্বে বিজেপির একদল বিধায়ক দিল্লি গিয়েছেন। বুধবার একসঙ্গে দিল্লি যান সুদীপ রায়বর্মন এবং সূর্যমণিনগরের দাপুটে বিধায়ক রামপ্রসাদ পাল। এছাড়া আরও ৪–‌৫ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক আগেই দিল্লি গিয়েছেন। শুক্রবার বাকিদের যাওয়ার কথা।

বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের দাবি, সুদীপ রায়বর্মন অথবা ত্রিপুরা রাজপরিবারের সদস্য উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মাকে মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে। দাবি না মানা হলে পৃথক দল গড়ারও হুমকি দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত,
বেশ কিছুদিন ধরেই দলের ভেতরেই অস্বস্তি বাড়ছে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের। সম্প্রতি বিধানসভা অধিবেশনের আগে বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকে সুদীপ সমেত ১৬ জন বিধায়ক গরহাজির থেকে কার্যত বিপ্লবের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন। ২০১৬ সালে রাজ্য বিজেপির নেতা বানিয়ে সরাসরি দিল্লি থেকে পাঠানো হয়েছিল ত্রিপুরার রাজনীতিতে অভিজ্ঞতাহীন সম্পূর্ণ অচেনা মুখ বিপ্লব দেব‌কে। পৈতৃক বাড়ি ত্রিপুরায় হলেও তিনি হিন্দি বলয়েই কাজের সূত্রে থাকতেন। সঙ্ঘ পরিবারেরও বিশ্বস্ত এই বিপ্লব। ভোটে জেতার পর এই আনকোরা বিপ্লবেই ভরসা রেখেছিল বিজেপি। কিন্তু ভোটের আগে বিজেপির দেওয়া গুচ্ছের প্রতিশ্রুতি পূরণ দূরে থাক, অর্থনীতি, উন্নয়ন, আইনকানুন, প্রশাসনিক শৃঙ্খলা সবকিছুই ভেঙে পড়েছে। তার ওপর মাঝে মাঝেই মুখ্যমন্ত্রীর হাস্যকর ও উল্টো পাল্টা নানা মন্তব্য রাজ্যজুড়ে বিজেপিকেই খোরাক বানিয়ে তুলেছে।

ত্রিপুরা বিধানসভার ৬০ সদস্যের মধ্যে বিজেপির আসন ৩৬, শরিক আইপিএফটির ৮, বিরোধী সিপিএমের আসন সংখ্যা ১৬। সুদীপ রায়বর্মনের সঙ্গে বিজেপির ১৬ থেকে ২১ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই শক্তি নিয়েই ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়করা বিপ্লবের বিরুদ্ধে ঘোঁট পাকিয়েছেন।

আরও পড়ুন-ভিমা-কোরেগাঁও মামলায় ৮৩ বছর বয়সী ফাদার স্টান স্বামীকে গ্রেফতার করল NIA

 

Previous articleট্রেন চললেই এবার গ্যাঁটের কড়ি খসবে, লাফিয়ে বাড়ছে ভাড়া
Next articleদিলীপ-মুকুল-কৈলাশ-লকেটদের বিরুদ্ধে আইন ভাঙায় মামলা পুলিশের