এনকাউন্টার নেশার মতো! চিনে নিন ‘পুলিশের ডনদের’

কথায় বলে বাঘে ছুঁলে ১৮ ঘা, আর পুলিশে ছুঁলে ৩৬ ঘা। আর তা যদি এনকাউন্টার হয় তবে? দেশজুড়ে এমন অনেক পুলিশ অফিসার আছেন যারা এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট। পর্দার আব তক ছাপ্পান-র নানা পাটেকারের মতো সজ্জনার বা প্রদীপ শর্মা, দয়া নায়েক, প্রফুল্ল বনশালে বা বিজয় সালাস্কাররা আছেন বাস্তবের মাটিতে।

এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট হিসেবে সুখ্যাতি আছে প্রদীপ শর্মার। প্রশাসনিক মহলে অনেকেই বলে তাঁর এনকাউন্টারের সংখ্যা ৩০০-র বেশি। তবে সরকারিভাবে ১০৪টি এনকাউন্টার করেছেন প্রদীপ শর্মা। পুলিশের ডেথ স্কোয়াডের সদস্য ছিলেন প্রফুল্ল বনশাল। ‘পুলিশের ডন’ বলেই অপরাধ জগতের কাছে তাঁর পরিচিতি ছিল। কর্মজীবনে ৩০০ জন অপরাধীকে গ্রেফতার করেছিলেনন তিনি। এনকাউন্টারের সংখ্যা ৮১। ৯০টিরও বেশি এনকাউন্টার করেছিলেন বিজয় সালাস্কার। ২৫ বছরের কর্মজীবনে মুম্বই পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াডের অফিসার ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে ২৬/১১ হামলার সময়ে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন সালাস্কার।

প্রদীপ শর্মার টিমে কাজ করতেন শচীন হিন্দুরাও ওয়াজে। প্রদীপের নেতৃত্বে একাধিক এনকাউন্টার টিমে যুক্ত ছিলেন শচীন। তিনি ছিলেন এনকাউন্টার এক্সপার্ট। কর্মজীবনে ৬৩টি এনকাউন্টার করেছেন তিনি। একসময়ে এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট রাজীব সিংয়ের নাম শুনলে জমি মাফিয়ারা ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকত। দিল্লির পুলিশের অপরাধদমন শাখার এই অফিসার তথা অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ছিলেন তিনি। কিন্তু জমি বিবাদের জেরে মৃত্যু হয় রাজীবের। কর্মজীবনে ৫০টি এনকাউন্টার করেছিলেন তিনি।

তবে এনকাউন্টার করে শুধুই স্বীকৃতি মেলে এমনটা নয়। এনকাউন্টার মামলায় সাসপেন্ড হওয়ার ঘটনাও আছে। রামনারায়ণ গুপ্তাকে একাউন্টার মামলায় সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এক সাক্ষাৎকারে এই পুলিশকর্তা বলেই ফেলেছিলেন, “এনকাউন্টার আমার কাছে নেশার মতো হয়ে উঠেছিল। তাই ছুটির দিন হলেই আমার ভারী একঘেয়ে লাগত৷” জানা গিয়েছে, এরপরই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়।

আরও পড়ুন:প্রার্থী খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত বিহার, গণপিটুনিতে মৃত্যু হামলাকারীর

Previous articleপুরোপুরি সুস্থ, হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক
Next articleসকলের শান্তি, সমৃদ্ধি, এবং সুখ আসুক, নবমীতেই বিজয়ার শুভেচ্ছা জানালেন ধনকড়