ফের শহরের পানশালাগুলিতে বন্ধ হতে চলেছে গানবাজনা, বিপাকে শিল্পীরা 

দীর্ঘ টালবাহানার পর চতুর্থ দফার ‘আনলক’ পর্বে বেশ কিছু বিধিনিষেধ-সহ খুলেছিল শহরের পানশালাগুলি। এত দিন রেস্তরাঁ খোলায় ছাড়পত্র থাকলেও পানশালা বন্ধই ছিল। শহরের বিভিন্ন পানশালা ও লাউঞ্জ বারে রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত চালু হয়েছিল গানবাজনা।

কিন্তু বুধবার থেকে ফের বন্ধ হতে চলেছে শহরের নাইটক্লাব ও পানশালাগুলি। আবগারি দফতরের হস্তক্ষেপে আচমকাই গানবাজনা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আবগারি বিভাগের এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘‘আবগারি কমিশনারের নির্দেশেই বিভিন্ন পানশালাকে গানবাজনা বন্ধ করতে বলা হয়েছে।

যদিও, লালবাজারের তরফে বলা হয়েছে, বিষয়টি তাদের জানা নেই। আবগারি দফতরের কোনও লিখিত নির্দেশিকা এখনও পর্যন্ত হাতে পাননি পানশালা মালিকেরা। লিখিত নির্দেশিকা হাতে না পেলেও, আবগারি কর্তাদের চটিয়ে গানবাজনা চালাতে চাইছেন না অধিকাংশ পানশালা মালিকই। কিন্তু আশঙ্কা, এ ভাবে আচমকা গানবাজনা বন্ধ হলে বিপাকে পড়বেন এই পেশার সঙ্গে জড়িত কয়েক লক্ষ শিল্পী, কলাকুশলী এবং ডিজে।

আরও পড়ুন : নায়িকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ, রাতভর অদ্ভুত কাণ্ড

শহরের চাঁদনি চক, পার্কস্ট্রিট, সেক্টর ফাইভেই রয়েছে বেশিরভাগ পানশালাগুলি। এই ঘটনায় বিভ্রান্ত পানশালার মালিক থেকে শিল্পীরা। কিছুজনের কাছে এসএমএস মারফৎ এসেছে নির্দেশিকা। সেটি পাঠিয়েছেন, আবগারি বিভাগের স্থানীয় ওসি। তাতে বলা হয়েছে, “পরবর্তী নির্দেশ আসা পর্যন্ত গানবাজনা করা বা গান বাজানো, কিছুই চলবে না।”  কারও কাছে গিয়েছে মৌখিক নির্দেশ। কিন্তু অতিমারি পরিস্থিতিতে বেছে বেছে পানশালার গানবাজনা বন্ধের পিছনে কী যুক্তি থাকতে পারে, তা কারও কাছেই স্পষ্ট নয়।

Previous articleলাল-হলুদের আইএসএল অভিষেক অভিনেত্রী কাবেরী বসুর নাতনির তৈরি জার্সিতে
Next article‘ফালতু কথা বলছেন’! CAA ইস্যুতে প্রকাশ্য সভায় যোগীর দাবি খারিজ নীতীশের