প্রসঙ্গ-ধর্মঘট: এখনও জারি হয়নি রাজ্য সরকারি দফতরে হাজিরার নির্দেশিকা

আগামীকাল, বৃহস্পতিবার কয়েকটি বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনগুলি দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের সিপিএম প্রভাবিত সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটি-সহ কয়েকটি বামপন্থী সংগঠনও ওইদিন সরকারি অফিসে ধর্মঘটের নোটিশ আগেই ঝুলিয়ে দিয়েছে।

তবে ধর্মঘটের দিন সরকারি অফিসে কর্মীদের উপস্থিতির ব্যাপারে গতকাল, বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও সরকারি নির্দেশিকা জারি হয়নি। ফলে কর্মীমহলে কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির জন্য সরকারি অফিসগুলিতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কর্মীদের এনে কাজ করার নির্দেশিকা এখনও কার্যকর আছে। কোন দিন কোন কর্মীরা কাজে আসবেন সেই ব্যাপারে ওই ৫০ শতাংশের ভিত্তিতে অফিস কর্তৃপক্ষ “রোস্টার” তৈরি করেন। তাই সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, ধর্মঘটের দিন অফিস আসা “বাধ্যতামূলক” সংক্রান্ত কোনও নোটিশ তৈরি করতে বেকায়দায় পড়েছে নবান্ন।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যে কর্মসংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে বাংলা থেকে বনধ কালচার তিনি বন্ধ করবেন। সেই কাছে এখনও পর্যন্ত সফল রাজ্য সরকার।

আবার কোনও কোনও ধর্মঘটের ইস্যুকে বাইরে থেকে সমর্থন করলেও বনধকে প্রশ্রয় দেয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তবে মহামারি পরিস্থিতিতে এবার বনধের মোকাবিলা করা বেশ চ্যালেঞ্জের বলেই মনে করা হচ্ছে।

Previous articleরামবিলাসের জায়গায় এবার কি সুশীল মোদি রাজ্যসভায়?
Next articleনির্মাণ কাজের জের, সংসদ ভবন থেকে সরানো হচ্ছে গান্ধীজীর মূর্তি