তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে রবিবার তার সভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন। বলেছেন বিজেপি তাঁর নাম নিতে ভয় পাচ্ছে। এবার তার বক্তব্যের পাল্টা তোপ দাগলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ।

তিনি এদিন বলেন, ‘ভাইপো বলায় যখন বোঝা যাচ্ছে, তখন নাম বলার কী দরকার রয়েছে? এফআইআর করার কথা কেন বলছে! আমরা তো এফআইআর-এর কথা বলিনি! তা হলে এফআইআর-এর ভয় কেন?’
তিনি বলেন, ‘সিবিআই, এনআইএ, ইডি আছে। এখানে নয়, যেতে হবে ভুবনেশ্বর।’

এমনকি আলুর দাম বাড়া নিয়ে দিলীপ ঘোষ রবিবার কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূলকে। তিনি জানালেন, ‘পার্টি চলছে না, প্রপার্টি (চলছে)। কালীঘাটের ১ ঠিকানায় ২৩ কোম্পানি’।

তার সাফ কথা,তৃণমূলে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে, আমরা মহাযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এদিন দিলীপ দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘মার খেতে হবে, তার পরে মার দেব। সাফল্যের কাছাকাছি চলে এসেছি। আর ৫/৬ মাস।’ তিনি আরও বলেন, ‘ডিসেম্বর মাস এই রাজ্য-রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়। সামনেই বড় নির্বাচনী লড়াই। সেই পরিস্থিতিতে বাইরে থেকে অনেক নেতৃত্বই বাংলায় আসবেন। তবে বাংলার রাজনীতি একটু আলাদা। এখানে কেউ এলেই যে সফল হবেন, এমন নয়। প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এর পরই আক্রমণাত্মক দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কয়লা এবং গরু থেকে তো টাকা ইনকাম বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই আলুর দাম বাড়িয়ে মানুষের পকেট কেটে নির্বাচনী টাকা তুলছে তারা।’ ।গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউতে সরকারি কর্মচারী পরিষদের এক সভায় দিলীপ রবিবার বলেন, ‘জঙ্গলমহলের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তৃণমূল।’
বলেন, ‘আমরা তো বলেছিলাম– লাল ডায়েরি পেলে দিদি যাবে জেলে। অনেক মাথাকেই ঢুকতে হবে। ডকুমেন্ট রয়েছে আমাদের কাছে।’

আরও পড়ুন- অভিষেকের সভায় শুভেন্দুকে কার্যত ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যা, জনতার হুঙ্কারে প্রতিরোধের ডাক
