রাজ্যের মধ্যে থেকেই গোর্খাল্যান্ডের স্বপ্ন পূরণ হবে, ভিড়ে ঠাসা সভায় বললেন রোশন

কার্শিয়াঙে সভা
কিশোর সাহা

পশ্চিমবঙ্গকে ভেঙে নয়, রাজ্যের মধ্যে থেকেই আলাদা গোর্খাল্যান্ডের দাবি পূরণ হতে পারে বলে এবার জানিয়ে দিলেন বিমল গুরুং শিবিরের অন্যতম নেতা রোশন গিরি। প্রায় সাড়ে তিন বছর বাদে দার্জিলিঙে ফিরে কার্শিয়াঙে এক ভিড়ে ঠাসা জনসভায় রোশন গিরি এ কথা জানান। রোশন জানিয়ে দেন, আগামী ২০২১ সালে তৃতীয়বার মমতা বন্দোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে পাহাড়ের সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করবেন। তিনি যা বলেন তা করেন বলেই তাঁর সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলবেন বিমল গুরুংরা। কিন্তু, তিন দফায় লোকসভা ভোটে জেতানোর পরেও বিজেপি নেতারা পাহাড়ের সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান না করে স্রেফ টালবাহানা করেছেন বলে ফের এদিন অভিযোগ করেন রোশনরা।

তবে কীভাবে রাজ্যের মধ্যে থেকে গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে যে সমস্যা তার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান হবে তা ওই সভায় তিনি বিষয়টি খোলসা করে বলেলনি। সূত্র অনুযায়ী, আগামী ৬ ডিসেম্বর বিমল গুরুং শিলিগুড়ি লাগোয়া সুকনা কিংবা শালবাড়িতে সভা করে তা নিয়ে আরও বিশদে জানাবেন। মোর্চার বিমল গুরুংপন্থীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, রাজ্যে ক্ষমতাসীন হলে গোর্খাল্যান্ডের দাবির বিষয়টিকে মর্যাদা দেবেন। সেই মতো সুভাষ ঘিসিংয়ের দার্জিলিং গোর্খা পার্বত্য পরিষদ বিলোপ করে গোর্খাল্যান্ড শব্দটি রেখে গঠন করেছিলেন গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন(জিটিএ)। তাতে গোর্খাল্যান্ডের সমর্থকরা অনেকটাই তৃপ্ত হয়েছিলেন। আগামী ২০২১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ের সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে রোশনরা মনে করেন।

এদিন কার্শিয়াঙে স্টেশন লাগোয়া চৌপথীতে সভা হয়। সেখানে ঠাসাঠাসি ভিড়। সভার কারণে সকাল থেকে পাহাড়ের পথে গাড়ির দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। সভা থেকেই রোশন গিরি, দীপেন মালের মতো নেতারা জানিয়ে দেন, ৬ ডিসেম্বর শিলিগুড়ি কিংবা লাগোয়া এলাকায় সভায় লক্ষাধিক সমর্থকের সমাবেশ হবে।
এদিন সভা থেকে জিটিএ-এর কাজকর্ম নিয়ে কিছু প্রশ্ন তোলেন রোশনরা। যেমন, পাহাড়ের মানুষের ঘরে-ঘরে মাস্ক, স্যানিটাইজার পৌঁছচ্ছে না কেন? অথচ রাজ্য সরকার তো পর্যাপ্ত টাকা দিয়েছে এবং গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে (জিটিএ)স্বাধীনভাবে কাজের অধিকারও দিয়েছে। তা হলে টাকা কোথায় গেল! শুধু তাই নয়, গত সাড়ে তিন বছরে জিটিএ প্রায় ১৭০০ কোটি টারকা বরাদ্দ পেয়ে কী করেছে সেই হিসেবও জনতার সামনে রাখার দাবি জানিয়েছেন রোশনরা।

আরও পড়ুন-“বিষ খেয়ে মরব কিন্তু বিজেপিতে যাবো না”! কেন এমন বললেন রাজ্যের মন্ত্রী?

Previous articleবন্দি মুক্তির দাবিতে জঙ্গলমহলে মাওবাদী পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য
Next articleমর্গে উঠে বসলেন ‘মৃত’ ব্যক্তি! জুড়ে দিলেন চিৎকার