মর্গে উঠে বসলেন ‘মৃত’ ব্যক্তি! শুধু উঠেই বসলেন না। জুড়ে দিলেন চিৎকারও। পায়ের যন্ত্রনায় কঁকিয়ে ওঠলেন বছর ৩২-এর যুবক। কী অবাক কাণ্ড। ঘটনা কেনিয়ার। ডাক্তার ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে ফেলেছেন। তারপর হঠাৎই প্রাণ ফিরে পেলেন কেনিয়ার যুবক পিটার কিগেন। চিকিত্সকদের গাফিলতির চূড়ান্ত নিদর্শন।
কী ঘটেছিল?
পেটের যন্ত্রণা নিয়ে পিটার কিগেন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৷ একের পর এক পরীক্ষা নিরীক্ষার পরও চিকিৎসকরা তাঁর শরীরে প্রাণ খুঁজে পাননি। ফলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন তাঁরা। এরপর পিটার কিগেনের দেহ রাখা হয় মর্গে। ওই যুবকের ডান পায়ে ফুটো করছিলেন মর্গের কর্মীরা। সেই ফুটো দিয়ে ফরমালিন প্রবেশ করানোর চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। তখনই যন্ত্রণায় কঁকিয়ে ওঠেন ওই যুবক। এর পরই তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসায় সাড়া দেন তিনি। ফিরে পান নতুন জীবন। কেরিচো কাউন্টিতে কাপকাটেট হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল পিটারকে।
সেই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে চরম অবহেলার অভিযোগ উঠেছে৷ কী ভাবে এত বড় ভুল করে বসলেন চিকিৎসকরা! উঠছে প্রশ্নও। এ বিষয়ে পিটার জানান, “আমি বিশ্বাস করতেই পারছি না। কী করে ওরা বুঝল আমি মৃত? ভগবানকে ধন্যবাদ আমার জীবন বাঁচিয়ে দেওয়ার জন্য।”
আরও পড়ুন-রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া! এবার বরাহনগরের বাবা-মায়ের মৃতদেহ ৭দিন আগলে ছিল মেয়ে