মমতাকে ব্ল্যাকমেল করা যাবে না, নাম না করে দলের বিদ্রোহীদের বার্তা ফিরহাদের

ফের বিজেপিকে একহাত নিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানকে কটাক্ষ করে মন্ত্রী বলেন, “কোনও গঠনমূলক কর্মসূচি নেই। কিছু একটা হলেই বিজেপি অভিযান অভিযান করে। আসলে এসব কিছুই নয়। বিজেপি লাফালাফি শুরু করে দেয়। আসলে বিজেপি ছাগলের তৃতীয় সন্তান।”

একইসঙ্গে ফের নাম না করে দলে “বিদ্রোহী”দের তোপ দাগেন ফিরহাদ। তিনি নিজের দলের শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিক্ষুব্ধদের উদ্দেশে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্ল্যাকমেল করা যাবে না। চার বছর পদে থাকাকালীন মনে হয়নি। এখন নির্বাচনের ৪ মাস আগে মনে পড়ল, আমি সম্মান পাইনি। আসলে এসব কিছুই নয়, হঠাৎ করে তাদের মনে হয়েছে। তাহলে তার আগে থেকে কেন এই কথাগুলো বলেনি। বাংলার মানুষ সব কিছুই বোঝেন। তাই নতুন করে কাউকে কিছু বুঝিয়ে দিতে হবে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় সবার পাশে আছে।”

পাশাপাশি রাজ্য সরকারি প্রকল্প নিয়ে ফিরহাদ হাকিম, জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড মানে চিন্তার অবসান। এই কার্ড থাকলে কোনও পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে তার জন্য সঠিক পরিষেবা দেওয়ার জন্য তা যথেষ্ট উপযুক্ত।

যেখানে যেখানে দুয়ারে সরকারের শিবির হচ্ছে অনেক সময় তা মানুষের বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে। তাই এবার থেকে কলকাতা কর্পোরেশনের কর্মীরা সরাসরি সেই সমস্ত মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যাবে। বাংলার বেশিরভাগ মানুষ যেন এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড-এর আওতায় আসতে পারে এবং সুবিধা লাভ করতে পারে সেই বিষয়ে নজর দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন:উত্তরকন্যা অভিযানে এক কর্মীর মৃত্যু, কাঁদানে গ্যাসে অসুস্থ কৈলাসও! দাবি বিজেপির

বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে কি গ্রাহ্য হবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড? এই প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, যদি কোনও বেসরকারি হাসপাতাল এই কার্ড গ্রহণ না করে এবং সেটি যদি স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড-এর আওতায় থাকে, তাহলে ওই কার্ডের পেছনে একটি নাম্বার রয়েছে। সেই নাম্বারে সরাসরি ফোন করা হলে স্বাস্থ্য দফতর থেকে ওই হাসপাতালে লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে।

Previous articleশুধু জলকামান-কাঁদানে গ্যাস, ময়না তদন্তের পরই মৃত্যু নিয়ে বিবৃতি! জানালো পুলিশ
Next articleশুভেন্দুর জন্য দলের দরজা কি খোলা রাখলেন নেত্রী? কণাদ দাশগুপ্তর কলম