বিক্ষোভের মুখে মেজাজ হারালেন মহুয়া, আপত্তিকর শব্দ সাংবাদিকদের

mahua moitra attacks pm narendra modi and amit shah

দলীয় কর্মীদের কোন্দলের মাঝে পড়ে মেজাজ হারালেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ তথা নদিয়া জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মহুয়া মৈত্র। অভিযোগ, দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে আপত্তিকর ভাষা প্রয়োগ করেন তিনি। বুথ সম্মেলনে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে সাংবাদিকদেরও তিনি কটাক্ষ করেন বলে অভিযোগ। রবিবার এ নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নদিয়ার গয়েশপুর।

পরে অবশ্য মহুয়া মৈত্র সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মহুয়া জানান, সম্মেলন খুব ভাল হয়েছে।

নদিয়ায় তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পরে থেকে প্রতি মাসে জেলার সব বুথকর্মীদের নিয়ে একেক জায়গায় বৈঠক করেন মহুয়া।

রবিবার গয়েশপুরের কর্মীদের নিয়ে সুকান্ত সদনে সম্মেলন ছিল। সেখানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন মহুয়া মৈত্র। কিন্তু তার আগেই তিনি দলীয় কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। সম্প্রতি এই পদে রদবদল আনা হয়েছে। এই নিয়েই বিক্ষোভের সূত্রপাত। দলের কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, গয়েশপুরে দলের নতুন সভাপতি সুকান্ত চট্টোপাধ্যায় স্থানীয় বাসিন্দা নন। তিনি কল্যাণীর বাসিন্দা। কেন একজন ‘বহিরাগত’কে সভাপতি পদে বসানো হল, সেই প্রশ্ন তুলে জেলা সভানেত্রী দেখান তাঁরা। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে গাড়ি থেকে নামতেই পারেননি মহুয়া মৈত্র। সুকান্ত সদনের সামনে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সাংসদকে এসকর্ট করে নিয়ে যাওয়া হয় ভিতরে।

এর জেরেই মেজাজ হারান মহুয়া মৈত্র। আপত্তিকর ভাষায় বকাবকি করতে থাকেন দলের কর্মীদের। পরে অবশ্য তিনি শান্ত হন। সকলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। এরপর বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনেই কথা বলেন। তাঁর কথায়, গণতান্ত্রিক দলে আলোচনার পাশাপাশি বিক্ষোভেরও জায়গা থাকে। কারও কোনও বিষয়ে আপত্তি থাকতেই পারে। তা নিয়ে তিনি কখনও রেগে গিয়ে মেজাজ হারাতেই পারেন। পরে আবার সব ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের ওপর তাঁর রুষ্ট হওয়ার ব্যাখ্যা দিতে পারেননি মহুয়া।

আরও পড়ুন-শিলিগুড়িতে পুলিশের ব্যারিকেডে থমকে দিলীপ ঘোষের গাড়ি, ডাকলেন সাংবাদিক বৈঠক

Previous articleমেদিনীপুরের জনসভায় মমতা, কী বললেন তিনি
Next articleকেন্দ্রীয় নেতার সামনেই বিজেপির বিক্ষুব্ধদের স্লোগান, ‘বিপ্লব হঠাও, বিজেপি বাঁচাও’