ভারত বনধ: রাজ্যে রাজ্যে একনজরে

কেন্দ্রীয় সরকারের তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে মঙ্গলবার ভারত বনধের ডাক দিয়েছে দেশের কৃষক সংগঠনগুলি। সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত কৃষকদের ডাকা বনধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে গোটা দেশে। দেশের সমস্ত অবিজেপি রাজ্যগুলিতে এই বনধের প্রভাব ব্যাপক ভাবে পড়তে শুরু করেছে। কোথাও রাস্তা অবরোধ তো আবার কোথাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রেলের চাকা। দিল্লি তো বটেই উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব, হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলিতে বন্ধের প্রভাব দেখা গিয়েছে ব্যাপকভাবে।

দেখে নেওয়া যাক দেশজুড়ে ভারত বন্ধের প্রভাব…

পশ্চিমবঙ্গ: তৃণমূল সরকার বনধ সমর্থন না করলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে কৃষকদের ডাকা বনধ সফল করতে সক্রিয় বামেরা। যাদবপুরে বামেদের তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রেল চলাচল। রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে চলছে বিক্ষোভ-স্লোগান।

উত্তর প্রদেশ: কৃষকদের ডাকা ভারত বনধকে সমর্থন করে সকাল থেকেই মাঠে নেমে পড়েছে সমাজবাদী পার্টি। বনধের সমর্থনে প্রয়াগরাজে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রেললাইনের উপর দাঁড়িয়ে চলছে বিক্ষোভ কর্মসূচি। গাজিয়াবাদে দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ বর্ডারে আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সরকারেের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলেছেন কৃষকরা।

অন্ধ্রপ্রদেশ: কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের ডাকা ভারত বনধকে সমর্থন করে নিজেদের কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের বাম দলগুলি। বিশাখাপত্তনমে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে একাধিক সড়ক। চলছে আইন প্রত্যাহারের দাবিতে স্লোগান।

কর্ণাটক: কৃষকদের ডাকা ভারত বনধকে সমর্থন জানিয়ে কর্নাটকের ব্যাঙ্গালুরুতে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে চলছে বিক্ষোভ প্রতিবাদ কর্মসূচি।

আরও পড়ুন:কৃষক বিক্ষোভকে হাতিয়ার করে জাতীয় স্তরে ফের বিরোধী ঐক্যের চেষ্টা

পঞ্জাব: কৃষি আইনের প্রতিবাদে এদিন সকাল থেকেই কার্যত স্তব্ধ দেখালো পঞ্জাবকে। অমৃতসরে সমস্ত দোকানপাট সকাল থেকেই বন্ধ। কৃষক শ্রমিক সংগঠনের মহাসচিব এদিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘পাঞ্জাবের মানুষ স্বেচ্ছায় আজ দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন বন্ধের সমর্থনে। শুধুমাত্র এমারজেন্সি পরিষেবা চালু রয়েছে। পাশাপাশি কৃষকদের তরফে বন্ধধ করে দেওয়া হয়েছে চন্ডিগড়় হাইওয়ে।

বিহার: হাজিপুর, জাহানাপুর, দ্বারভাঙ্গা খবরিয়া সহ বিহারের অন্যান্য জেলাতে কৃষক ও মহাজোটের নেতৃত্বরা সকাল থেকেই পথে নেমে পড়েছেন বনধের সমর্থনে।

সিঙ্ঘু বর্ডার: মঙ্গলবার ১৩ দিনে পড়েছে কৃষি আইন এর বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন। আন্দোলনকারীরা এদিন সকাল থেকেই তিনটি কৃষি আইন ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে প্রতিবাদে নেমেছেন। পরিস্থিতি নজরে রেখে সিঙ্ঘু বর্ডারে প্রচুর নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

তেলেঙ্গানা: কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকদের ভারত বনধ সফল করতে এদিন সকাল থেকেই মাঠে নেমেে পড়েছে তেলেঙ্গানার শাসকদল টিআরএস।

Previous articleকৃষক বিক্ষোভকে হাতিয়ার করে জাতীয় স্তরে ফের বিরোধী ঐক্যের চেষ্টা
Next articleবনধ সমর্থনে ব্যাট হাতে পথে অশোক ভট্টাচার্য