বিজেপির সদস্যরাই সবচেয়ে বেশি গো মাংস রফতানি করে, বিস্ফোরক সিদ্দারামাইয়া

বিজেপির শাসন কালে দেশজুড়ে গোরক্ষা আলাদা প্রাধান্য পেয়েছে। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের গরুর সুরক্ষায় তৈরি হয়েছে আলাদা মন্ত্রক। বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে গো রক্ষার্থে নানান পদক্ষেপ করেছে যোগী সরকার। সেই ধারা অব্যাহত রেখে গো-রাজনীতি শুরু হয়েছে বিজেপি শাসিত কর্ণাটক রাজ্যেও। গো হত্যা রোধে নয়া আইন এসেছে এখানেও। এরপরই সরকারের নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠল সেখানকার বিরোধীদল। নয়া আইনের পাল্টা দিয়ে এদিন বিজেপি সমর্থকদের গরুর সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক বলে কটাক্ষ করলেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া।

শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয় বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া জানান, ‘অত্যন্ত অবৈজ্ঞানিক স্বৈরাচারী পন্থায় এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। আমি চাই গরুর মাংস রপ্তানি বন্ধ হোক। আর এই সংক্রান্ত নীতিতে গোটা দেশে একটি মাত্র আইন তৈরি হোক। কিন্তু আপনারা যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন গোমাংস রপ্তানির কাজে যারা যুক্ত রয়েছেন তাদের বেশিরভাগই বিজেপি সমর্থক।’ শুধু তাই নয় নিজের বক্তব্য প্রসঙ্গে সিদ্দারামাইয়া স্বামী স্বরূপানন্দ স্বরস্বতীর একটি মন্তব্যকে হাতিয়ার করেন। জানান, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পরেই গো মাংস রপ্তানি আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গিয়েছে। ২০১২-১৩ সালে ভারত থেকে ১০ লক্ষ ৭৬ হাজার টন গরুর মাংস রপ্তানি করা হয়েছিল। ২০১৪-১৫ সালে এই সংখ্যাটা গিয়ে পৌঁছে ১৪ লক্ষ ৭৫ হাজার টন।

আরও পড়ুন:‘হ্যাকার গ্রুপ’এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ফেসবুকের

কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা আরও জানান, মোদি সরকারের ক্ষমতায়নের পর টানা ৩ বছর ১৩ লক্ষ টন করে গো মাংস রপ্তানি হয়েছে বিদেশে। এরপরই সিদ্দারামাইয়া দাবি করেন, পরিস্থিতি বিচার করে শুধুমাত্র কিছু রাজ্যে এই আইন চালু না করে গোটা দেশে এটা চালু হোক। তবে সরকার এটা না করে একদিকে লাইসেন্স দিয়ে গো মাংস রপ্তানিতে উৎসাহিত করছে মানুষকে। আবার অন্যদিকে কোনওরকম পরিকল্পনা ছাড়া কোথাও কোথাও গো হত্যা বন্ধ করার জন্য আইন লাগু করা হচ্ছে।

Previous articleবর্তমান পুরমন্ত্রীকে চিঠি প্রাক্তনের
Next articleমর্মান্তিক! মেয়ের সঙ্গে খেলতে গিয়ে মৃত্যু বাবার