ভোটের মডেলেই হবে কোভিড-টিকাকরণ প্রক্রিয়া, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ার মডেলকে অনুসরণ করেই কোভিড- টিকাকরণ প্রকল্প (COVID-19 vaccine) কাজ করবে। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ( Ministry of Health and Family Welfare,Government of India)৷

সর্বশেষ লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের ভোটার তালিকার ভিত্তিতে ৫০ বছর ও তার উর্ধ্বের নাগরিকদের চিহ্নিত করা হবে৷ এনারাই টিকাকরণে অগ্রাধিকার পাবেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলেছে,
◾প্রথম দফায়, প্রথম সারির স্বাস্থ্যকর্মী ও কোভিড যোদ্ধাদের সঙ্গে পঞ্চাশ ও পঞ্চাশোর্ধ্ব নাগরিকদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

◾পরবর্তী পর্যায়ে ভ্যাকসিন সরবরাহ ও এলাকাভিত্তিক
সংক্রমণের তীব্রতা বিচার করে টিকা দেওয়া হবে দেশের অবশিষ্ট নাগরিকদের। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারগুলিকে স্পষ্ট নির্দেশিকাও পাঠিয়েছে কেন্দ্র।

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,

◾একমাত্র নথিভুক্ত ব্যক্তিদেরই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে এবং

◾সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে এক-এক দফায় ১০০ জনের বেশি ভ্যাকসিন নিতে পারবেন না।

◾টিকাকরণ প্রক্রিয়া চালুর আগে প্রতিটি জেলা, ব্লক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ পর্ব সেরে ফেলতে হবে।

দেশে কোভিড ভ্যাকসিন প্রকল্প চালুর উদ্দেশে তৈরি হয়েছে NEGVAC বা ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপ অন ভ্যাক্সিন অ্যাডমিনস্ট্রেশন। এছাড়া, দেশে Covid-19 ভ্যাকসিন প্রকল্প সফল করতে ২৩টি কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ও দফতরকে যুক্ত করা হয়েছে৷

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিকল্পনা অনুযায়ী,

◾প্রতিটি টিকাকরণ দলে থাকবেন পাঁচ সদস্য। এঁদের মধ্যে একজন ভ্যাক্সিনেটর অফিসার, যিনি এমবিবিএস বা বিডিএস চিকিৎসক হতে পারেন, স্টাফ নার্স, ফার্মাসিস্ট, ANM বা অক্সিলিয়ারি নার্স মিডওয়াইফ LHV বা ও লেডি হেলথ ভিজিটার।

◾যিনিই টিকা দেওয়ার অনুমোদন পাবেন, তাঁকে সম্ভাব্য ভ্যাক্সিনেটর বিবেচনা করা হবে।

◾থাকছেন একজন ভ্যাক্সিনেটর অফিসার, সঙ্গে পুলিশ, হোমগার্ড, সিভিল ডিফেন্স, এনসিসি, এনএসসি অথবা নেহেরু যুব সংগঠনের কোনও এক বা দু’জন সদস্য, যাঁদের কাজ হবে টিকার জন্য নথিভুক্ত ব্যক্তির তথ্যাদি পরীক্ষা করা এবং তাঁকে নিরাপদে টিকাকরণ কেন্দ্রের নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দেওয়া।

◾দ্বিতীয় ভ্যাক্সিনেটর অফিসার টিকা গ্রহণকারীর পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখবেন।

◾তৃতীয় এবং চতুর্থ ভ্যাক্সিনেটর অফিসারও থাকবেন৷ তাদের কাজ হবে ভিড় সামলানো, তথ্য সংগ্রহ, শিক্ষা ও যোগাযোগ বজায় রেখে মূল ভ্যাক্সিনেটরকে সাহায্য করা।

◾টিকাগ্রহণকারীকে খুঁজে বের করতে সাহায্য নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় সরকারের Covid-19 অনুসন্ধান নেটওয়ার্ক বা CO-WIN ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের।

◾টিকাকরণের পরে টিকাগ্রহীতার শরীরে কোনও সমস্যা দেখা দিয়েছে কি না, সেই বিষয়ে নজর রাখা হবে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘সেফভ্যাক’ পরিষেবা, যা যুক্ত থাকবে CO-WIN প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে।

আরও পড়ুন-TRP জালিয়াতি : এবার গ্রেফতার রিপাবলিক টিভির CEO বিকাশ খানচন্দানি

Previous articleরাজীবের সঙ্গে বৈঠকে পার্থ, রয়েছেন পিকেও, সমস্যা মিটে যাওয়ার ইঙ্গিত
Next articleহালিশহরে বিজেপি নেতা খুনের প্রতিবাদে বীজপুর থানায় বিক্ষোভ বিজেপির