শুভেন্দু অধিকারী বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন৷ দলবদলের পথে৷ কিন্তু ‘দাদার অনুগামী’-দের একটা বড় অংশ এখনই ‘সব ছেড়ে’ একই পথে হাঁটতে রাজি হচ্ছেন না৷
শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ এক ‘বিশিষ্ট’ অনুগামী বৃহস্পতিবার বলেছেন,
“বিভিন্ন সরকারি পদে থাকা ‘দাদার অনুগামী’- দের অনেকে এখনই সরকারি বা প্রশাসনিক ছাড়তে চাইছেন না৷ ‘দাদা’ বিধায়ক পদে ইস্তফা দিলেও ঘনিষ্ঠদের অনেকেই নিজেদের পদ ছাড়তে নারাজ৷” ওই ঘনিষ্ঠের কথা অনুযায়ী, এই ‘সমস্যা’ দেখা দিচ্ছে দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে৷ এই তিন জেলায় ছড়িয়ে আছে ‘দাদা’-র ঘনিষ্ঠদের একটা বড় অংশ। এদের অনেকেই প্রশাসনিক পদে আছেন৷ অনেকেই বিধায়ক, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ, পঞ্চায়েতের প্রধান বা উপপ্রধান ৷ তাদের একাংশ তৃণমূলের সঙ্গে থাকার কথাই বলছেন।
বুধবার শুভেন্দু অধিকারী বিধায়ক পদে ইস্তফার চিঠি পেশ করার পরেও ওই তিন জেলার একজন বিধায়কও পদত্যাগ বা দলত্যাগের কথা মুখে আনেননি৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যাখ্যা, এই শ্রেণির নেতারা এখনও জল মাপছেন।
আরও পড়ুন : ১০ বিধায়ক নিয়ে শনিবার বিজেপিতে যাচ্ছেন শুভেন্দু, সূত্র
জানা গিয়েছে, ওই তিন জেলার একাধিক তৃণমূল বিধায়ক সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীর কাছেই বার্তা পাঠিয়েছেন, “এটা ঠিকই আপনি যেখানে আমরাও সেখানে। এখন আমরা ভালো পদে আছি। এলাকায় এবং কর্মীদের কাছে আত্মমর্যাদা বজায় রাখতে হলে নতুন ঠিকানায় উপযুক্ত পদ প্রয়োজন৷ সে বিষয়টি চূড়ান্ত না হলে এখনই দল বদলে রাজি নই। সব খুইয়ে দলবদল করতে পারবো না।” পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত জেলা পরিষদের শিক্ষা-কর্মাধ্যক্ষ মধুরিমা মণ্ডল, জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর আনন্দময় অধিকারীও মন্তব্য করেছেন, “দল ছাড়ার কথা ভাবছি না।” এর অর্থ, বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি কোন নেতাকে কেমন দায়িত্ব দেয়, তা দেখার পরই পদক্ষেপ করতে চাইছেন বলে মনে করা হচ্ছে৷ ওদিকে সরাসরি ইস্তফার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি৷ সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন, “আমি দলবিরোধী কোনও কাজ করিনি। আমি শুভেন্দু- অনুগামী নই, শুভেন্দুর শুভানুধ্যায়ী!”