৭০ বিধায়ক, ১২ সাংসদ, ৪ জেলা সভাপতি তৃণমূল ছাড়ছেন, দাবি ‘অনুগামী’ কনিষ্ক’র

জল্পনা এবং দাবি বেড়েই চলেছে৷

বৃহস্পতিবার সকালে যে সংখ্যাটা ছিলো ২৫-৩০, সন্ধ্যায় তা দাঁড়িয়েছে ৬৫-৭০ বিধায়ক৷ শুক্রবার হয়তো ১০০ ছাড়িয়ে যাবে৷

তৃণমূলের জনাকয়েক বিধায়ক একুশের ভোটের মাসকয়েক আগে হঠাৎই নিজেদের বঞ্চিত ভাবতে শুরু করেছেন৷ বেসুরো কথা বলছেন৷ ‘বিদ্রোহের’ ইঙ্গিত দিচ্ছেন৷ কিন্তু শুভেন্দু-শিবির অতি উৎসাহে বাগী- বিধায়কদের সংখ্যা যেখানে নিয়ে যাচ্ছে, তা মিথ্যা হলে শুভেন্দু অধিকারীর ভাবমূর্তিই যে ধাক্কা খাবে, সম্ভবত আবেগে তা আর মাথায় থাকছেনা৷

শুভেন্দু-অনুগামী হওয়ায় আগেই দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়া ‘দাদার অনুগামী’ কনিষ্ক পণ্ডা’র চাঞ্চল্যকর দাবি, “দার্জিলিং থেকে দিঘা, শুভেন্দুর পিছনে লাইন দিয়ে অপেক্ষা করছেন তৃণমূলের অগুনতি সাংসদ- বিধায়ক”৷ তিনি দাবি করেছেন, “শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতে যেতে চলেছেন ৭০ থেকে ৭২ জন বিধায়ক, ১০ থেকে ১২ জন সাংসদ এবং ৪ থেকে ৫ জন তৃণমূল জেলা সভাপতি”৷ দাদার এই ‘অনুগামীর’ দাবি, শনিবার মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভাতেই বিজেপিতে যোগ দেবেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই মঞ্চেই তৃণমূলের বিধায়কদের হাজিরা প্রমান করবে ওই দলের মহাপতন শুরু হয়ে গিয়েছে৷ ”

শুভেন্দুর দল ছাড়ার পরই তৃণমূল শিবিরে বাড়তি তৎপরতা লক্ষ করা গিয়েছে৷ দলের অনেকেই প্রকাশ্যে তাঁদের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, শুভেন্দুর দল ছাড়া মেনে নিতে পারছেন না। কিন্তু এর অর্থ এমন নয় যে, এরা সকলেই দলত্যাগ করবেন৷ রাজনৈতিক মহলের ধারনা, “শুভেন্দু- শিবির বিজেপির কাছে নিজেদের গুরুত্ব বৃদ্ধি করতে এমন অলীক সংখ্যা ভাসিয়ে দিচ্ছে, যা বাস্তবে কখনই সম্ভব নয়৷

গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে রাজনৈতিক মহল৷

আরও পড়ুন- একুশের ময়দানে ফের পাহাড় ইস্যু! ‘স্থায়ী সমাধান’ চেয়ে শাহর দফতরে রাজু বিস্তা

Previous articleবাংলার রাজ্যপালের মন্তব্যে উষ্মা সিপিএম নেত্রীর
Next articleঅস্থিতিকর পরিস্থিতির মোকাবিলায় জরুরি বৈঠক ডাকলেন মমতা