বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে এবার আলোচনায় বসছেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী

আর অন্য কারো উপর ভরসা নয়, এবার দলের বেসুরো নেতাদের নিয়ে সরাসরি আলোচনা শুরু করলেন তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Benarjee)। দলের ভিতর থেকে বেশ কিছু দিন ধরে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। রাজনৈতিক মহলের মতে তার একটি বড় কারণ হল সাংগঠনিক কাজে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (Prasant Kishor) ‘হস্তক্ষেপ’। বেশিরভাগ বিদ্রোহী নেতার বক্তব্য, সংগঠনের কাজ নিয়ে ‘বহিরাগত’ এক জনের কাছ থেকে কেন শুনতে হবে? ইতিমধ্যে যাঁরা দল ছেড়েছেন তেমন কয়েক জন প্রকাশ্যেই এই কথা বলেছেন।

বিষয়টির দ্রুত সমাধানের এবার আসলে নামছেন স্বয়ং তৃণমূলনেত্রী। এ বিষয়ে শীঘ্রই মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rajib Benarjee) ডেকে কথা বলবেন তিনি। হুগলির বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের (Prabir Ghosal) সঙ্গেও ইতিমধ্যে মমতার একপ্রস্ত কথা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।

দল পরিচালনা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভের জানিয়েছিলেন রাজীব। শুধু তাই নয়, নিজের যোগ্য মর্যাদা পাননি বলেও উষ্মা প্রকাশ করেন। শুভেন্দু-পর্বে তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়েও জল্পনা রয়েছে। এই অবস্থায় তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chaterjee) দু’দফায় তাঁর সঙ্গে কথাও বলেন। সেখানে প্রশান্তের উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি করেছিলেন রাজীব। তার পর বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন মমতা।

দলত্যাগের আগে শুভেন্দুর সঙ্গে দুদফা বৈঠক করেন বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Ray)। যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Benarjee) ছাড়া সেখানে ছিলেন প্রশান্তও। শেষ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ফোনে নিজের কথা জানালেও শুভেন্দুর সঙ্গে মুখোমুখি কথা হয়নি মমতার। শুভেন্দু বিজেপিতে যাওয়ার আগে বেশ কয়েকবার শুভেন্দু ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। প্রশান্ত তাঁদের কাঁথির বাড়িতেও গিয়েছিলেন। তাতে অবশ্য কাজ হয়নি।

দলের জেলা স্তরের কিছু জায়গায় একই রকম সমস্যা আছে। শুভেন্দু বা রাজীবের মতো হেভিওয়েট না হলেও সেই নেতা বা জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেও মমতা কথা বলতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন-কীসের ভিত্তিতে বললেন বিজেপি দুই অঙ্ক পেরবে না? ব্যাখ্যা পিকের

Previous articleকীসের ভিত্তিতে বললেন বিজেপি দুই অঙ্ক পেরবে না? ব্যাখ্যা পিকের
Next article১ টাকায় মিলবে খাবার, ক্যান্টিন চালু করলেন বিজেপি সাংসদ