হুগলি জেলার কোন্নগরের(Konnogar) নবগ্রাম এলাকায় একটি পুকুর ভরাট ও গাছ কাটার অভিযোগ পাল্টা অভিযোগকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে চলে এলো তৃণমূলের(TMC) অন্তরদ্বন্দ্ব। উত্তরপাড়া শ্রীরামপুর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপ্তি ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে সরাসরি বিজেপি(BJP) যোগের অভিযোগ করলেন নবগ্রাম অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব মজুমদার(Apurba Majumdar)।
নবগ্রাম ২ নম্বর স্কুল মাঠ এলাকায় একটি জমিতে পুকুর ভরাট ও গাছ কাটার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মী মন্টু পানের বিরুদ্ধে। সরাসরি সেই অভিযোগ করেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপ্তি ভট্টাচার্য। দীপ্তি ভট্টাচার্য জানান, ‘ওই এলাকায় একটি পুকুর ভরাট ও বড় গাছ কেটে আবাসন বানানোর কাজ শুরু হয়েছে যেটা তৃণমূলের কর্মী মন্টু পান করছে।’ এছাড়াও দীপ্তি ভট্টাচার্য পঞ্চায়েতের দিকে আঙুল তুলে জানান, ‘এখন সমস্ত প্ল্যানের অনুমতি পঞ্চায়েত দেয়, নবগ্রামে যত ফ্ল্যাট হচ্ছে পঞ্চায়েত প্রধানের হাত ধরেই হচ্ছে।’ এই বিষয়ে বলতে গিয়ে দীপ্তি ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন নবগ্রাম তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অপূর্ব মজুমদার, তিনি বলেন, ‘সমিতির সভাপতি আসলে কিছুই জানেনা।হয়তো টাকা নিয়ে লেনদেন করে দলের বিরুদ্ধে এসব বলছে। আর সমিতির সভাপতি আদতে নিজে গিয়ে দেখেছেন না তার কোনো দালাল মারফত খবর পেয়েছেন জানা নেই।’
আরও পড়ুন:কয়লা ও গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআইয়ের নজরে গনেশ বাগাড়িয়া
এরপর সমিতির সভাপতি দীপ্তি ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আরো বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন, দীপ্তি ভট্টাচার্য নিশ্চই বিজেপি দলের সাথে যোগসাজশ করে তৃণমূল দলকে বদনাম করতে এসমস্ত বলছে।পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপ্তি ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে সরাসরি বিজেপি দলের সাথে যোগসাজসের কথা জানিয়ে অঞ্চল সভাপতি আরো বলেন, ‘দলের মধ্যে থেকে দলের বিরুদ্ধে কথা বলা বরদাস্ত করা হবে না। চাইলে দীপ্তি ভট্টাচার্য দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে এসব মিথ্যা কথা বলতে পারেন।’ তবে পুকুর ভরাটের অভিযোগ সরাসরি উড়িয়ে দিয়ে অপূর্ব মজুমদার জানিয়ে দেন তিনি বিষয়টি জানতে পেরে নিজে গিয়ে বিষয়টি দেখেন সেখানে কোনো পুকুর ভরাট হচ্ছে না।আর পঞ্চায়েত বা তৃণমূল দল কোনও বেআইনি কাজকে সমর্থন করে না।