কেন্দ্রের পদ ছাড়াও যায়, নাম না করে শুভেন্দুকে খোঁচা কুণালের

ঘোষণা অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সমতুল্য মর্যাদার পদ পেলেন শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikary)৷ কেন্দ্রের জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া’র (JCI) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ হলেন তিনি৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Sah) ইচ্ছেতেই তিনি এই দায়িত্ব পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

আর এই ঘটনার পরই নাম করে শুভেন্দু অধিকারীকে (Subhendu Adhikary) খোঁচা দিলেন রাজ্যসভার প্রাক্তন তথা তৃণমূলের (TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে কুণাল নাম না নিয়ে শুভেন্দুকে অভিনন্দন জানান। তবে কুণালের এই পোস্টে স্পষ্টতই শুভেন্দুকে নিয়ে বিদ্রুপের সুর রয়েছে।

এদিন কুণাল লেখেন, “কোনো বড় নেতা কেন্দ্রের তরফে কোনো বড় পদ পেলে এবং তা গ্রহণ করলে ভালো। অভিনন্দন।

কিন্তু পদ পেয়ে তা প্রত্যাখ্যান করাটাও একটু মনে রাখবেন।
আমি জামিন পাওয়ার পর আমাকে টেলিফোন অ্যাডভাইসরি কমিটির চেয়ারম্যান পদ অফার করে চিঠি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। সব কাগজ ও টিভিতে খবরে ছয়লাপ ছিল।

কিন্তু আমি ধন্যবাদ দিয়ে সবিনয়ে জানিয়েছিলাম ওই পদ গ্রহণ করতে পারছি না।আজকের হুজুগে মিডিয়াকে এইটুকুই মনে করালাম।”

উল্লেখ্য, গত ১৯ ডিসেম্বর অমিত শাহরে হাত থেকেই বিজেপি-র (BJP) পতাকা তুলে নিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ অমিত শাহের সঙ্গে যে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে, তাও স্পষ্ট করেছিলেন শুভেন্দু৷ পাল্টা অমিত শাহও বুঝিয়ে দেন, বিজেপি-তে বিশেষ গুরুত্ব পেতে চলেছেন শুভেন্দু৷

নতুন হলেও ইতিমধ্যেই শুভেন্দুকে রাজ্য বিজেপি-তে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে তাঁর জন্য জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সমতুল পদে বসিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হল, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দুকে যথাসম্ভব গুরুত্ব দিয়েই তুলে ধরবে বিজেপি৷

শুভেন্দু অবশ্য বিজেপি-তে যোগদানের পর থেকেই বার বার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, কোনও পদের লোভে নয়, শুধুমাত্র তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরানোর লক্ষ্য নিয়েই বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন তিনি৷ দলের সাধারণ কর্মী হিসেবেও তিনি কাজ করতে রাজি৷

কিন্তু একের পর এক সুবিধা যেভাবে শুভেন্দুকে দেওয়া হচ্ছে এবং তিনিও তা সাদরে গ্রহণ করছেন, সেই বিষয়টিকেই তুলে ধরতে চেয়েছেন কুণাল। অর্থাৎ, শুভেন্দুর নাম না নিয়ে তাঁকে সুবিধাভোগীর ক্যাটাগরিতেই ফেললেন কুণাল।

 

Previous articleকৃষকদের বকেয়া মেটাতে হবে রাজ্যকেই, নতুন দাবিতে সরব শুভেন্দু
Next articleবৈশাখী-ইস্যুতে বিজেপি এতখানি নতজানু কেন ? কণাদ দাশগুপ্তর কলম