স্বামীজিকে নিয়ে বাজার গরম বিজেপির,পাল্টা জবাব দিলেন ব্রাত্য

স্বামীজিকে নিয়ে বাজার গরম করতে কসুর করেনি বিজেপি। এবার তার পাল্টা জবাব দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
বিবেকানন্দর জন্মদিবসে মিছিল করতে গিয়ে এবার তাঁর মূর্তি ভাঙতে পারে বলে বিজেপির দিকে আঙুল তুললেন ব্রাত্য বসু। সোমবার তৃণমূল ভবন থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুলিশকে বিষয়টিতে নজর রাখতে বলেছেন তিনি।
মঙ্গলবার বিবেকানন্দর জন্মদিবসে রাজ্যজুড়ে কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির। কর্মসূচি রয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসেরও। প্রতি ব্লকে সেই কর্মসূচি হওয়ার কথা।
সোমবার ব্রাত্য বসু বলেন, “আমরা তো প্রতি ব্লকে মিছিল করব। প্রতি বছরই করি। হঠাৎ এবার বিজেপি করবে। এতদিন করেনি।” তাঁর কথায়, “ওঁরা সাময়িকভাবে ভাবছে বিবেকানন্দকে নিয়ে যদি কিছু করা যায়। কিন্তু মিছিল যখন হবে আমাদের সচেতন থাকতে হবে যাতে আবার মূর্তি না ভেঙে দেয়। পুলিশকে আমরা বলে রাখব সেদিকে নজর রাখতে।
রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দর বোঝানো হিন্দু ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা করে বিজেপি মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বলে ইতিমধ্যে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। মন্ত্রী এদিন সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন,  রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দ যে আদর্শে মানুষের সেবার কথা বলেছিলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটাই তুলে ধরেছেন। শিকাগো বক্তৃতার স্মরণে স্মারক বক্তৃতার অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি বাতিল করা হল। মন্ত্রীর প্রশ্ন, “কে কী উদ্দেশ্যে সেই কলকাঠি নেড়েছিল? কেন তা বাতিল করা হয়েছিল? রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দের আদর্শকে সামনে রেখে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই কাজ করছিলেন বলে এই সিদ্ধান্ত?”
এই প্রসঙ্গে মনীষীদের নামে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগও আরও একবার তুলেছেন মন্ত্রী।
তাঁর অভিযোগ, “আজ যারা বিবেকানন্দকে নিয়ে অন্য ধর্মের কথা শোনাচ্ছে, রানি রাসমণিকে কৈবর্ত বলে মন্দিরের জমি দিতে চায়নি তাঁদেরই পূর্বপুরুষ। রামকৃষ্ণ একমাত্র গিয়ে বলেছিলেন, মন্দির হবে। পুজো হবে। আমি পুজো করব।”
তৃণমূল নেতার বক্তব্য, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পর বাংলায় চলেছে সোভিয়েত সাম্রাজ্যবাদ। বাংলার মনীষী ও দেশগঠনে ভূমিকা থাকা ব্যক্তিদের ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
বিজেপির সঙ্গে রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দর আদর্শ যে মেলে না, এ দিন তা বোঝানোর চেষ্টা করেন ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তিনি বলেন, ‘রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দকে ব্যবহার করে বিজেপি। রামকৃষ্ণের মূল নীতি যত মত তত পথ। হিন্দু ধর্মের পুনরুজ্জীবন ঘটিয়েছেন রামকৃষ্ণ। চৈতন্যদেবের জন্মস্থান চেনে না বিজেপি। চৈতন্যদেব, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলকে নিয়েও ভুলভাল বলেছেন।’
এই সরকারই স্বামী বিবেকানন্দের নামে এনেছে স্বনির্ভর প্রকল্প। সিস্টার নিবেদিতা ও বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয় করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঙালির গরিমা, চিন্তা, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে আন্তর্জাতিকতার সঙ্গে মিলিয়েছে এই সরকার ।

Previous articleমন্ত্রী রাজীবের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে, কী বলবেন তিনি ১৬ তারিখ?
Next articleগাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক, মৃত্যু হল তাঁর স্ত্রীর