প্রাইমারি টেটে ঠিক ভাবে মানা হয়নি এনসিটিই-এর নিয়ম, ক্ষোভ পরীক্ষার্থীদের

গত ৩১ জানুয়ারি রাজ্যে মোটের ওপর নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছে প্রাইমারি টেট। সারা রাজ্যের প্রায় আড়াই লক্ষ পরীক্ষার্থী কোভিড বিধি মেনেই পরীক্ষাকেন্দ্রে এসে পরীক্ষা দেন। দুপুর একটা থেকে আড়াইটে পর্যন্ত চলে পরীক্ষা।

তবে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে অভিযোগ করেছেন অনেক পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার্থীদের একটা বড়ো অংশের অভিযোগ এবারের টেটের প্রশ্ন খুব কঠিন এসেছে। বিশেষ করে গণিতের প্রশ্নগুলো অনেকটাই বড় বড় প্রশ্ন এসেছে। যেগুলো পড়তে গিয়েই অনেকটা সময় ব্যয় হয়েছে। এমনকি বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীরাও ৩০টি গণিত প্রশ্নের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৮-১৯টির বেশি প্রশ্নের উত্তর করতে পারেননি। তাছাড়া এনসিটিই-এর নিয়ম মেনে চলার কথা বললেও অনেক ক্ষেত্রে নিয়ম ঠিকভাবে মানা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন পরীক্ষার্থীরা।

চাকরি প্রার্থীদের বড় অভিযোগ পেডাগগি নিয়ে। NCTE এর নিয়ম অনুযায়ী মোট পাঁচটি বিষয়ের প্রতিটিতে ৩০ নম্বর করে মোট ১৫০ নম্বরের প্রশ্ন হবে। সেক্ষেত্রে ৫০% পেডাগগি’র প্রশ্ন থাকবে। চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, গণিত বিষয়ে পেডাগগির একটাও প্রশ্ন নেই। বাংলাতেও নিয়ম বহির্ভূত প্রশ্ন এসেছে বলে অভিযোগ। এই প্রথমবার বাংলা বিষয়ে দুটি কমপ্রিহেনসন এসেছে। তাছাড়াও যেসব বিষয়গুলিতে নম্বর বেশি তোলা যায়, অর্থাৎ শিশু মনস্তত্ব এবং পরিবেশ বিদ্যা বিষয়ের প্রশ্ন বেশ কঠিন এসেছে বলে অভিযোগ করেছেন পরীক্ষার্থীরা। ফলে অনেকেই পরীক্ষা দেওয়ার পর হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। আবার বেশ কিছু পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্র জটিল হওয়ার জন্য আদালতে যাওয়ার কথাও ভাবছেন। এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি প্রাইমারি টেটের প্রশ্নপত্র দেখেছি। প্রশ্ন বেশ জটিল এসেছে। সাধারণ পরীক্ষার্থীদের জন্য একেবারেই নয় এই পরীক্ষা। প্রতিটি বিষয়ে সঠিক জ্ঞান না থাকলে এই প্রশ্নের উত্তর করা বেশ শক্ত’

আরও পড়ুন- ফের এনআরসি-সিএএ বিরোধী বার্তা, তৃণমূলের বিকল্প উন্নততর তৃণমূল: মমতা

Advt

Previous articleমেট্রো ডেয়ারি কাণ্ডে কেভেন্টার্সের দুই অফিসে ইডির হানা
Next articleখুশির জোয়ার শেয়ারবাজারে, সেনসেক্সের পাশাপাশি নয়া রেকর্ড গড়লো নিফটিও