লক্ষ্য আয় বাড়ানো, ব্যবসার অনুমতি কলকাতা মেট্রোর

আয় বাড়াতে মরিয়া কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro)। সেই লক্ষ্যে কলকাতার বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনের বাইরে দেওয়া হয়েছে অস্থায়ী স্টল। ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র আবহে তরুণ-তরুণীদের কথা মাথায় রেখে এই উদ্যোগ। স্টলগুলোতে মূলত রয়েছে কম দামের নকল গয়নার সম্ভার। রবীন্দ্র সদন, দমদম (Dumdum), শোভাবাজার, মহানায়ক উত্তম কুমার, ধর্মতলা (Esplanade), কালীঘাটের (Kalighat) মতো স্টেশনের বাইরে নজরে পড়েছে এই বিশেষ স্টল। টুকটাক কেনাকাটা চলছে চোখে পড়ার মতো। বিশেষ এই দিনগুলিতে যাতে আয়ের মাত্রা বৃদ্ধি করা যায় সেই লক্ষ্যে মেট্রো কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগ।

মেট্রোরেল আধিকারিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের কোনওরকম অসুবিধা না করে স্টল বসানোর কথা বলা হয়েছে। করোনা আবহাওয়া এবং লকডাউন পরবর্তী অধ্যায়ে মেট্রোর আয় আগের থেকে কমতে পারে প্রায় ৭০ শতাংশ, আশঙ্কা এমনটাই। এই ঘাটতি বা লোকসান যাতে কিছুটা হলেও পূরণ করা যায় তাই ব্যবসা করতে দেওয়ার।

এক মেট্রো আধিকারিক বলেছেন, “বিভিন্ন উৎসব- অনুষ্ঠানে মানুষের যেমন মেট্রোতে ঢল নাম, তেমনই বৃদ্ধি পায় বিভিন্ন দোকান থেকে কেনাকাটি করার প্রবণতা। সেই প্রবণতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা স্টল দেওয়ার কথা ভেবেছি।” যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে স্টলগুলোকে ‘পেড এরিয়া’ বা প্লাটফর্মে বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। সেই সঙ্গে তাদের মেনে চলতে হচ্ছে করোনা সংক্রান্ত কঠিন গাইডলাইন। সন্ধ্যে আটটার পর স্টল বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া রয়েছে। লকডাউন পরবর্তী সময়ে মেট্রো চালু হলেও উল্লেখযোগ্যভাবে দেখা মেলেনি যাত্রীর।

আগে যেখানে সাড়ে ছয় লক্ষর কাছাকাছি যাত্রী যাতায়াত করতেন, সেখানে এইই সংখ্যাটা এখন কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় আড়াই লক্ষের কোঠায়। তবে আগামী দিনে যাত্রী সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে এই সমস্ত স্টলকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের যে আগ্রহ তাতে করে আয়েও যে কিছু প্রভাব পড়বে তা বলাই বাহুল্য।

আরও পড়ুন: কুলপির ঢোলায় অভিষেকের জনসভা, কী বললেন তিনি?

Advt

Previous articleUttarakhand Glacier Burst : ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত তপোবন, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮
Next articleইংল‍্যান্ডের বিরুদ্ধে দুরন্ত শতরান রোহিতের