অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার (Ankush Hazra) ছায়াসঙ্গী অস্বাভাবিক মৃত্যু আত্মহত্যা বলে অভিযোগ পুলিশের। মৃত্যুর খবর নিজেই ইনস্টাগ্রাম (Instagram) পোস্ট করে জানান অঙ্কুশ গত ১০ বছর ধরে এই বাপ্পাদা ছিলেন অঙ্কুশের সহকারী। অভিযোগ, ভিডিও দেখিয়ে বাপ্পাকে ক্রমাগত ব্ল্যাকমেলিং (Blackmail) করা হচ্ছিল হোয়াটসঅ্যাপে (Whatsapp)। কিন্তু সে কথা কাউকে জানাননি তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, দু’তিনবার দাবি মতো টাকা দিয়েছেন কিন্তু তারপর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
বাপ্পার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু না জানালেও সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেতা লেখেন, “বাড়ির ভিতরে যেমন মা-বাবা আমার খেয়াল রাখেন, বাড়ির বাইরে এই মানুষটি মা-বাবার মতোই খেয়াল রাখতেন। ১০ বছরের এই পথ চলা কোনও দিন ভুলব না।”
View this post on Instagram
১০ বছরের ছায়াসঙ্গীকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ অঙ্কুশ। শোকের পাশাপাশি এক রাশ অভিমান রয়েছে পোস্টে। অঙ্কুশ স্মরণ করেছেন ‘বাপ্পাদা’র ‘ছায়াসঙ্গী’ হয়ে ওঠার কথা। অভিনেতার বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি শ্যুটিংয়ে সময়মতো ওষুধ, জল খেয়েছেন কিনা নখদর্পণে থাকত বাপ্পাদার। গরমে ঘেমে গেলে ছোট্ট তোয়ালে দিয়ে নিজের হাতে মুছিয়ে দিতেন। “আমাকে এ ভাবে ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য সারা জীবন অভিমান করব তোমার উপরে। শ্যুটিংয়ে সময়মতো ওষুধ খাব কি না, জানি না। এই ভাবে অভ্যাস খারাপ করে দিয়ে চলে গেলে?”
অঙ্কুশের ছায়াসঙ্গী বন্ধু ছিলেন ঐন্দ্রিলা সেনেরও (Oyendrila Sen)। বাপ্পার আকস্মিক মৃত্যুতে শোকাহত তিনি। ইনস্টাগ্রামের পোস্টে ঐন্দ্রিলার লেখেন, “১৫ বছরের দাদা-বোনের সম্পর্ক শেষ করে চলে গেলে! যেখানেই থাকো, ভাল থেকো বাপ্পাদা।”
আরও পড়ুন- শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানির মামলায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের