কাল ব্রিগেডে মোদির পাশে মিঠুন-অক্ষয়ের যুগল ফ্রেম?

একে রামে রক্ষা নেই, সঙ্গে দোসর লক্ষ্মণ।

সারসংক্ষেপে আগামিকাল মোদির( Modi) ব্রিগেডের এটাই সার কথা। মোদি-অমিত শাহ ( modi-amit shah)জুটি সম্ভবত বাংলার ভোটের পক্ষে যথেষ্ট নয়। তাই রবিবারের গেরুয়া ব্রিগেডের মঞ্চে দুই তারকার থাকার প্রবল সম্ভাবনা। একজন মিঠুন চক্রবর্তী ( mithun chakraborty )অন্যজন অক্ষয় কুমার( akshay kumar)   । দুজনেই নাকি শহরে। কিন্তু দুজনেরই টিকিটি ছোঁওয়া যাচ্ছে না।

প্রয়াত সিপিএম নেতা সুভাষ চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ মিঠুন চক্রবর্তী রাজ্যে পালা বদলের সঙ্গে সঙ্গে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান বদলেছেন। ২০১১-তে পরিবর্তনের পর তৃণমূল নেত্রীর কাছকাছি চলে আসেন। রাজ্যসভায় তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভায় যাওয়ার পর বলেছিলেন, আমি যদি অকৃতজ্ঞ না হই, তাহলে আজকের দিনটার কথা ভুলব না। তারপর সারদা-কাণ্ডে মিঠুনের নাম জড়িয়ে পড়তেই নিজেকে দল থেকে বিচ্ছিন্ন করতে শুরু করেন। এক সময় সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করে বাংলা থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসন নেন। ফের নড়াচড়া। অসুস্থতা কাটিয়ে আরএসএসের হেড অফিস নাগপুর দিয়ে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ। একবার-দু’বার। তারপর বাংলার ভোটের মুখে এক সময়ের নকশালপন্থী গেরুয়া ব্রিগেডে। অবশ্য শেষ মুহূর্তে কোনও সমীকরণের গণ্ডগোল হলে হয়তো মিঠুন থেকে যাবেন ভাঙড়ের গায়ে ফরচুন স্টুডিওর শুটিংয়ে।

অন্যদিকে বিজেপিতে যোগ না দিয়েও অক্ষয় কুমার গেরুয়া শিবিরের পছন্দের। খোদ প্রধানমন্ত্রী তাঁর ইন্টারভিউয়ের জন্য ‘স্পেশাল ২৬’-এর হিরোকেই বেছে নিয়েছিলেন। অক্ষয়ও দরাজ হাতে সরকারকে ২১ কোটি টাকা দিয়েছেন।

কিন্তু কলকাতায় কেন? অক্ষয় যখন ১৯-২০, তখন কলকাতার চাঁদনি চক, নিউ মার্কেট অঞ্চলেই ভাগ্যের সন্ধানে কাজ করেছেন। সন্ধে হলেই কলকাতার মেট্রো সিনেমা হলে ছুটতেন বচ্চনকে দেখতে। তাই অক্ষয়ের শরীরেও কলকাতার গন্ধ। বাংলা ও বাঙালির সঙ্গে রিলেট করতে দুই তারকাকেই মঞ্চে হাজির করতে চাইছেন মোদি-শাহ। কিন্তু সরকারিভাবে বিজেপি এ বিষয়ে মুখ খুলছে না। দুই তারকার ব্রিগেডে থাকার ব্যাপারে প্রশ্ন করলেই তাঁরা দেখাচ্ছেন দিল্লিকে।

আরও পড়ুন:নন্দীগ্রামে প্রার্থী মমতা, নেওয়া হচ্ছে ঘর ভাড়া

Advt

Previous articleনন্দীগ্রামে প্রার্থী মমতা, নেওয়া হচ্ছে ঘর ভাড়া
Next articleপ্রত্যাশামতোই বিজেপিতে যোগ দিলেন দীনেশ ত্রিবেদী