কার্শিয়াং কেন মোর্চাকে ছাড়া হল, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি মুখী রাজেন মুখিয়া

দার্জিলিং : দল তাঁকে কার্শিয়াং বিধানসভায় প্রার্থী না করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে আসনটি ছেড়ে দেওয়ায় ক্ষোভে তৃণমূল ছাড়লেন রাজেন মুখিয়া। যিনি তৃণমূলের দার্জিলিং পাহাড় শাখার প্রথম সভাপতি।

 

পাহাড়ের ডাকসাইটে নেতা তথা পেশায় ঠিকাদার রাজেনবাবু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ভোট এলেই পাহাড়ের আসন বিমল গুরুং বা তাঁদের মতো কাউকে তৃণমূল ছেড়ে দেয়। তা হলে তৃণমূলের পাহাড়ে সংগঠনের কী প্রয়োজন সেই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন রাজেন। তিনি জানিয়ে দেন, দলের এমন সিদ্ধান্ত মানতে না পেরেই তিনি তৃণমূল ছাড়ার কথা জানিয়ে ইস্তফা পত্র পাঠিয়েছেন কলকাতার সদর দফতরে। আগামী দিনে কার্শিয়াং থেকে তিনি নির্দল হিসেবে দাঁড়াবেন নাকি বিজেপির হয়ে দাঁড়াবেন তা নিয়ে জল্পনা চলছে। রাজেন মুখিয়া জানান, রাজনীতিতে সব কিছুই সম্ভব।

কদিন আগে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়। সে সময়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, পাহাড়ের তিনটি আসন মোর্চাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার পরেই রাজেন ও তাঁর অনুগামীরা ক্ষেপে যান। কারণ, বিমল গুরুং ও বিনয় তামাংদের সঙ্গে তৃণমূলের এখন সুসম্পর্ক। সে জন্য তৃণমূলের হয়ে কার্শিয়াং আসনে দাঁড়ালে জয় পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল। বাস্তবে তা হচ্ছে না দেখে রাজেনবাবুর অনুগামীরা দল ছেড়ে নির্দল বা বিজেপির টিকিট পাওয়ার চেষ্টার জন্য চাপ বাড়ান। শেষ অবধি রবিবার বিকেলে রাজেনবাবু তৃণমূল ছাড়ার কথা জানিয়ে পদত্যাগপত্র পাঠান।

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাক্তন জিএনএলএফ নেতা সুভাষ ঘিসিংয়ের ঘনিষ্ঠ রাজেনবাবুকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়েছে। তৃণূলের দার্জিলিং পাহাড় শাখার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেউ দল ছাড়ব বলে জেদ ধরে থাকলে কিছু করার নেই। তবে রাজেনবাবু আরও চিন্তাভাবনা করতে অনুরোধ করেছেন পাহাড় তৃণমূল।

Advt

Previous articleটিকিট না পাওয়ার দুঃখে তৃণমূল ছেড়ে নির্দল নান্টু পাল, দলে টানার কথা ভাবছে বিজেপি
Next articleব্রিগেডে দেখা মিলল না শোভন-বৈশাখীর, মোহভঙ্গ শুরু!