টিকিট না পেয়ে প্রদীপ প্রসাদের তোপ আবদুল মান্নানকে, পু্নর্বিবেচনার দাবিতে চিঠি AICC-কে

বিজেপির মতো রাজ্যজুড়ে বেনজির বিক্ষোভ না হলেও, কংগ্রেসের (Congress) প্রার্থী (Candidate) ঘোষণার পরও কর্মী-সমর্থকদের অসন্তোষ দেখা গিয়েছে ভবানীপুর আসন নিয়ে৷

দিল্লি থেকে কংগ্রেস হাইকম্যাণ্ড বঙ্গভোটে ৩৯টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। সেই তালিকা অনুসারে ভবানীপুর কেন্দ্রে দলের প্রার্থীর নাম যুব কংগ্রেসের সভাপতি সাদাব খান। এই আসনের প্রবল দাবিদার ছিলেন দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ প্রসাদ (Pradip Prasad )৷ তাঁর নাম না থাকায় প্রবল ক্ষোভে চরম পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রদীপ৷ সিদ্ধান্ত পু্নর্বিবেচনার জন্য প্রদেশ কংগ্রেস এবং এআইসিসি’র কাছে চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি৷ একইসঙ্গে তাঁর নাম বাদ দেওয়ার জন্য ফেসবুক পোস্টে সরাসরি দায়ী করেছেন প্রবীণ নেতা আবদুল মান্নানকে (Abdul Mannan)৷

নিজের ফেসবুক পোস্টে মান্নান সাহেবের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের গুরুতর অভিযোগ এনে প্রদীপ প্রসাদ লিখেছেন, “মান্নানদা এটা আপনি কী করলেন? আমাকে আপনি ফোন করে বললেন যে, অধীর চৌধুরি আমার নাম প্রস্তাব করেছেন আর আপনি সমর্থন করেছেন, এই তার নমুনা? শুধু আপনার সঙ্গে থাকে বলেই তাকে প্রার্থী করতে হবে? পাতালে গিয়েও প্রার্থী করতে হবে? ৯২ আসনের মধ্যে ভবানীপুরটাই পছন্দ হল আপনাদের? আপনারা নিজের জেলায় দিতে পারতেন তো একটা আসন, নিজের আসনটাও তো দিয়ে দিতে পারতেন| সেটা তো করলেন না? কাকে বার্তা দিলেন তৃণমূলকে ? ভবানীপুরে যাতে তৃণমূলের জয় সহজ হয়? না’কি রাজ্যপালের কথায় কংগ্রেসি ভোট বিজেপি-তে সেই অপচেষ্টা?” প্রদীপ সম্ভবত রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বিরোধী দলনেতার ভালো সম্পর্ককেই কটাক্ষ করেছেন৷

আরও পড়ুন- দেওয়াল লিখন ঘিরে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ, আহত প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর

প্রদীপ লিখেছেন, “তৃণমূল দক্ষিণ কলকাতায় এতদিন কংগ্রেসকে সাইনবোর্ড করতে পারে নি, কিন্তু আপনারা এক মূহুর্তে তা করে দিলেন| কোটি টাকা খরচা করে যুব কংগ্রেসের পদ অলঙ্কার করা ছাড়া কংগ্রেসে অবদানটা কী? তা-ও মাত্র ২-৩ বছর হলো৷ আমি ৩৩ বছর ধরে রাজনীতি করি, দক্ষিণ কলকাতা আপামর মানুষ জানেন৷ তখন আপনি রাজ্য সেবাদলের চেয়ারম্যানও হননি৷ দলে থাকি বা না থাকি, আমরা জবাব চাইবো প্রদেশের কাছ থেকে, এআইসিসির কাছ থেকে৷ ”

রবিবার দুপুরে ভবানীপুর বিধানসভার কেন্দ্রের মোট ৮টি ওয়ার্ড, ৬৩,৭০ থেকে ৭৪ এবং ৭৭ এবং ৮২ নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে জরুরি বৈঠকও করেন প্রদীপ প্রসাদ৷ তার আগে হাজরা মোড়ে তাঁর টিকিট না পাওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখায় তাঁর অনুগামীরা৷ ভবানীপুরের কার্যালয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠক করেও ক্ষোভ উগড়ে দেন দীর্ঘদিনের এই কংগ্রেস নেতা৷ প্রদীপ বলেছেন, প্রার্থী সাদাব খানের কোন দোষ নেই৷ প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে তিনি একটা আসন পেতেই পারেন৷ প্রদেশ কংগ্রেস, যুব সভাপতির পছন্দের আসন দিতেই পারতো৷ কিন্তু প্রদেশ নির্বাচন কমিটি কি করলো ? যুব সভাপতি কে পুর্নবাসন দিতে ভবানীপুরে এনে ফেলা হলো কেন? এর আগে বালিগঞ্জ আসনও ছেড়ে দেওয়া হয় কাউকে না জানিয়ে। এই ভাবে দল বাচঁবে না৷ দল শেষ হয়ে যাবে৷”

আরও পড়ুন- দেওয়াল লিখন ঘিরে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ, আহত প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর

এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি আবদুল মান্নান ৷

Advt

Previous articleশ্যামনগরে বইমেলা শুরু, জমজমাট উদ্বোধন
Next articleপাহাড়ের ৩ আসনে প্রার্থী বিনয় তামাংয়ের, পাল্টা প্রার্থী দিতে পারেন বিমল গুরুং