বিজেপি নির্দেশ মেনেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন চলাকালীন ২৪ ঘন্টার জন্য তাঁর প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই সবটাই হয়েছে কেন্দ্রের শাসকদলের ষড়যন্ত্রের জেরে। মঙ্গলবার এমনই অভিযোগ তুলে কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠলেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। পাশাপাশি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই লড়াইয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন তিনি।
সোমবার টুইট করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বাংলার বাঘিনী’ আখ্যা দিয়ে তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত লেখেন, ‘মমতা দিদির প্রচারের ওপর ২৪ ঘন্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এটা স্পষ্ট ভাবে কেন্দ্রের শাসকদলের নির্দেশে নির্বাচন কমিশনের তরফে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা ভারতের স্বতন্ত্র সংস্থার সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের উপর ন্যক্কারজনক হামলা। আমি বাংলার বাঘিনীর পাশে রয়েছি।’
ECI has imposed a ban on Mamta didi for 24 hours. This is clearly done at the behest of BJP, ruling party in India. It is a direct attack on democracy and sovereignty of independent institutions of India. solidarity with Bengal Tigress, @MamataOfficial
@derekobrienmp pic.twitter.com/oGxPJZdrSL— Sanjay Raut (@rautsanjay61) April 13, 2021
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি মন্তব্যের জেরে নোটিস পাঠানো হয়েছিল কমিশনের তরফে। যার একটি ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও প্রসঙ্গ এবং অন্যটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট। এই দুই মন্তব্যের জেরে রাজ্য সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৭ এপ্রিল তৃণমূল নেত্রীকে পাঠানো হয় নোটিশ। ৯ তারিখ তার জবাব দেন মমতা। তবে মমতার উত্তরে সন্তুষ্ট না হওয়ার সোমবার ২৪ ঘন্টার জন্য তাঁর প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কমিশনের এহেন সিদ্ধান্তকে পক্ষপাতদুষ্ট অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে ধরনায় বসার সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মঙ্গলবার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেছেন তিনি।
আরও পড়ুন:দিলীপ ঘোষকে শোকজ নোটিস কমিশনের
এদিকে শুধু শিবসেনা নয় এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে মমতার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বামেরাও। কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন যাদবপুরের সিপিআইএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘যদি প্রচার বন্ধ করতে হয়, তবে শীতলকুচি মন্তব্যের জেরে দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা ও সায়ন্তন বসুর প্রচারও বন্ধের নির্দেশ দেওয়া উচিত। তবেই প্রমাণিত হবে, কমিশন পক্ষপাতিত্ব করছে না।’