রাজ্যে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই ‘মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট’- এর দোহাই দিয়ে বিজেপি নেতাদের আবদার মেনে রাজ্য পুলিশের একাধিক বদলি করে কার্যত গৃহবন্দি করে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে নবান্নে এসে অধিকাংশ আইপিএস অফিসার এবং জেলাশাসককে পুনর্বহাল করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

ভোটের আগে নির্বাচন কমিশন যে সমস্ত আইপিএস অফিসার এবং আমলাদের বিভিন্ন জেলায় জেলা শাসকের পদে দায়িত্ব দিয়েছিল তাদের মধ্যে অনেকেই এবারের নির্বাচনে সরাসরি বিজেপির দালালি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে আগেই। প্রথমেই শীতলকুচি গুলি চালানোর ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষে সওয়াল করা দেবাশীষ ধনকেশরী-র জায়গায় নতুন পুলিশ সুপার করা হয়েছে কান্নান কে। সরানো হয়েছে পুরুলিয়া জেলা শাসক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় এবং পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক স্মিতা পান্ডেকে। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার কেও। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক স্মিতা পান্ডে কে সরিয়ে তার জায়গায় নতুন জেলাশাসক হয়েছেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল কর্পোরেশনের সচিব পদে কর্মরত পূর্ণেন্দু মাজি। স্মিতা পান্ডে-কে নিয়োগ করা হলো ওয়েবেল এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে। পুরুলিয়া জেলা শাসক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে কম্পালসারি ওয়েটিং-এ পাঠালো রাজ্য সরকার। পুরুলিয়ার নতুন জেলাশাসক হলেন রাহুল মজুমদার।

পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা আধিকারিক পদে ফিরিয়ে আনা হল বিবেক সহায়কে। সঞ্জয় সিং হলেন এডিজি পশ্চিমাঞ্চল, জ্ঞানবন্ত সিংকে আবার রাজ্যের অতিরিক্ত নিরাপত্তা ও অধিকর্তা পদে নিয়ে আসা হয়েছে। আইজি সিআইএফ মনোজ কুমার ভার্মাকে আবার নিয়ে আসা হল ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার পদে। মিতেশ জৈনকে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার করেছিল কমিশন, তাকে পাঠানো হল কম্পালসারি ওয়েটিং-এ। আসানসোলের পুলিশ কমিশনার হলেন অজয় কুমার ঠাকুর। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার পদে এলেন গৌরব শর্মা। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হলেন অর্ণব ঘোষ। বীরভূমের পুলিশ সুপার পদ থেকে অপসারিত শ্যাম সিং-কে দায়িত্ব দেওয়া হল বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার পদে। ভাস্কর মুখোপাধ্যায়কে সুন্দরবন পুলিশ জেলার এসপি এবং সেলভা মুরুগান পুরুলিয়ার এসপি পদে আনা হল। এছাড়াও আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, বারুইপুর জেলা পুলিশ, হাওড়া গ্রামীণ, কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলা, জঙ্গিপুর পুলিশ জেলা, রানাঘাট পুলিশ জেলা, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ দিনাজপুর, ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার বদল হয়েছে।

আরও পড়ুন- শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে মারাঠা সংরক্ষণ অসাংবিধানিক, জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত
