CBI-ডিরেক্টর পদ ৩ মাস ফাঁকা, কে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, উঠছে প্রশ্ন

বঙ্গ-ভোটে বিজেপির লজ্জাজনক পরাজয়ের পরই CBI এ রাজ্যে অতি- সক্রিয়তা দেখিয়ে চলেছে৷

ওদিকে প্রশ্ন উঠেছে, গত ফেব্রুয়ারি থেকে CBI-এর পূর্ণাঙ্গ ডিরেক্টর পদে কেউ নেই। তাহলে গুরুত্বপূর্ণ এই ধরনের সিদ্ধান্ত কে নিচ্ছে ? ডিরেক্টর-এর ভূমিকা কে পালন করছেন ? কেন টানা ৩ মাসেও CBI ডিরেক্টর নিয়োগ করা হয়নি?

নারদ-মামলায় ৪ নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে গত সোমবার৷ CBI-এর কোনও পূর্ণাঙ্গ ডিরেক্টরই যখন নেই, তখন এত বড় সিদ্ধান্তে সবুজ সংকেত কোথা থেকে এসেছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে৷ ৩ মাস কোনও পূর্ণ সময়ের ডিরেক্টর না থাকায় তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে। কারণ CBI ডিরেক্টরের ক্ষমতা ও অধিকার অনেক বেশি। টানা ৩ মাস পার হলেও CBI-এর পূর্ণ সময়ের ডিরেক্টর নিয়োগ না করা নিয়ে ক্ষুব্ধ দেশের শীর্ষ আদালতও৷ সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছে কেন CBI ডিরেক্টর নিয়োগ করা হয়নি। পূর্ণ সময়ের ডিরেক্টর না থাকায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কে, তাও জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত৷ বিষয়টি নিয়ে অনেকটা জলই ঘোলা হয়েছে ইতিমধ্যে৷

জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ মে CBI ডিরেক্টর নিয়োগ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হতে চলেছে৷ ওই বৈঠকে চূড়ান্ত হতে পারে CBI-এর নতুন ডিরেক্টরের নাম৷ দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্ট্যাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৪৬ অনুযায়ী নিয়ম হল প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি একসঙ্গে বৈঠকে আলোচনায় স্থির করেন CBI ডিরেক্টর কে হবেন। সেখানে কয়েকটি নাম নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
CBI-এর পরবর্তী ডিরেক্টর পদে রাকেশ আস্থানা, ওয়াই সি মোদি এবং সুবোধ জয়সওয়ালের নাম জল্পনায় আছে। রাকেশ আস্থানা বর্তমানে BSF-এর ডিরেক্টর জেনারেল, ওয়াই সি মোদি NIA বা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির প্রধান। আর সুবোধ জয়সওয়াল CISF-এর ডিরেক্টর জেনারেল।

আরও পড়ুন:নারদ-কাণ্ড : কর্মী-সমর্থকদের কাছে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন মদন-জায়ার

Advt

Previous articleনারদ-কাণ্ড : কর্মী-সমর্থকদের কাছে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন মদন-জায়ার
Next articleইজরায়েল-প্যালেস্তাইন সঙ্ঘর্ষে আরব দুনিয়ায় যুদ্ধের আতঙ্ক