একের পর এক মিথ্যে ফাঁদ পেতে একাধিক মহিলাকে বিয়ে। প্রায় ৩৫ জনের সঙ্গে সহবাস রাকেশ রায় চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির। রাকেশের এক স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার বিধাননগরের একটি হোটেল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিঙ্গুর থানার পুলিশ। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, রাকেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ের অভিযোগ রয়েছে কলকাতা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন থানায়।

আরও পড়ুন-করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে অটোমোবাইল শিল্প
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত রাকেশ জলপাইগুড়ির বাসিন্দা। ফেসবুকের মাধ্যমে রাকেশ মহিলাদের সঙ্গে পরিচয় করে তাঁদের অনেককে বিয়ে করত আবার কারোর সঙ্গে সহবাস করত। মহিলাদের কাছে তিনি নিজের পরিচয় হিসেবে কখনও নিজেকে সরকারি চাকুরে, আবার কখনও পর্যটন ব্যবসার মালিক বলে পরিচয় দিত। যেসব মহিলারা বিয়ে করতে রাজি হতেন তাঁদেরকে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পাতানো আত্মীয়স্বজনদের সামনে বিয়ে করত।

এভাবেই দমদমের এক তরুণীর রাকেশের ফেসবুকে আলাপের পর তাঁকে সিঙ্গুরে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। ওই মহিলার কাছে রাকেশ বড় সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলে পরিচয় দেয়। এরপর প্রায় দেড় মাস মতো সিঙ্গুরেই ঘর ভাড়া করে ওই তরুণীকে ছিল অভিযুক্ত। তরুণী রাকেশের আসল রূপ জানতে পেরে সিঙ্গুর থানার পুলিশের দারস্থ হন। এরপর সিঙ্গুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করলে তারা জানতে পারেন রাকেশের বিরুদ্ধে কলকাতা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক বিয়ের অভিযোগ রয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ৩৫ জন মহিলার সঙ্গে সহবাস করেছে রাকেশ। একটি ধর্ষণ মামলায় সে এক বছর জেলও খেটেছে।
