এক নজরে রাজ্যে পুলিশ-দুষ্কৃতী এনকাউন্টারের ইতিহাস

তিলোত্তমা কলকাতা চিরকাল সকলকে আপন করে নিয়েছে। ভিন রাজ্য হোক বা ভিনদেশি, কলকাতা তার কৃষ্টি-সংস্কৃতি মেনে সকলকেই জায়গা করে দেয়। কিন্তু তারই সুযোগ নিয়ে কখনও কখনও অপরাধীরা অপরাধমূলক কাজকর্ম সংঘটিত করার জন্য এই শহরকেই অনেক সময় বেঁচে নেয়। ভালো মানুষের মুখোশের আড়ালে গা ঢাকা দেয় তারা। তাই বেশ কয়েক বছর ধরে শহর ও শহরতলী হয়ে উঠেছে অপরাধীদের নিরাপদ ডেরা। আর তার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী শহর ও শহরতলীতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা বহুতলের ফ্ল্যাট মালিকরা। তারই একটা দৃষ্টান্ত এবার দেখলো নিউটাউন সাপুরজি। কলকাতা পুলিশের এসটিএফের এনকউন্টারে খতম হলো পাঞ্জাবের কুখ্যাত দুষ্কৃতী জয়পাল সিং ভুল্লার ও তার এক সঙ্গী।

কিন্তু শহর বা রাজ্যে এই প্রথম এনকাউন্টার নয়, এর আগেও কুখ্যাত অপরাধীদের এনকউন্টারের সাক্ষী থেকে এ রাজ্য। উল্লেখ্যযোগ্য ও বহুচর্চিত কয়েকটি এনকউন্টারের ঘটনা উদাহরণ রাখা হলো–

(১) ১৯৯৮ সালে পার্ক স্ট্রিট এনকাউন্টারের ঘটনা আজও টাটকা। যেখানে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এসটিএফের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় মনজিৎ সিং মাঙ্গের সহযোগীদের। পায়ে গুলি লাগে মনজিতের।

(২) ১৯৯৮ সালেই দমদমে এনকাউন্টার হয়। কুখ্যাত অপরাধী ওয়াজিদ অকুনজি ও কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এসআই মনোজ দাস ও দুষ্কৃতী অকুনজি আহত হয় সেই ঘটনায়।

(৩) কয়েক বছর আগে হাওড়ার ঘুষুড়িতে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় এক দুষ্কৃতীর।

(৪) জঙ্গলমহলে মাওবাদী নেতা কিষেনজির মৃত্যু হয় রাজ্য পুলিশের এনকউন্টারে। কিষেনজি ও তার সঙ্গীরাও পুলিশকে তাক করে অনবরত গুলি চালিয়েছিল।

(৫) ২০১৯ সালের পুলিশ আত্মসমর্পণ-এর সুযোগ দিলেও তাতে রাজি না হওয়ায় প্রভু সাউ নামে এক দুষ্কৃতী এনকাউন্টারে খতম হয়।

আরও পড়ুন- বজ্রপাতে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আজ হুগলিতে অভিষেক

Advt

 

Previous articleবজ্রপাতে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আজ হুগলিতে অভিষেক
Next articleনিউটাউন এনকাউন্টার: দুই দুষ্কৃতীর মৃতদেহ শনাক্ত করলো পাঞ্জাব পুলিশ