দায় এড়াতে NHRC জানালো, রিপোর্ট ফাঁস তাঁরা করেনি, ফের তৃণমূলের তোপে কমিশন

বিপাকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন৷ দায় এড়াতে সাফাই- বিবৃতি কমিশনের৷

বাংলায় তথাকথিত ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে আদালতের নির্দেশেই কমিশন একটি রিপোর্ট হাইকোর্টে পেশ করেছে৷ এর পরই প্রশ্ন উঠেছে, আদালতে দাখিল করা গোপনীয় ওই রিপোর্ট প্রত্যেকের হাতে হাতে ঘুরছে কীভাবে? অভিযোগ উঠেছে, কমিশনের তরফেই গোপন এই রিপোর্ট ফাঁস করা হয়েছে৷ এই অভিযোগ এনে সরাসরি কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে৷ কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলা হচ্ছে, যে কাজ এখনও বিজেপি করে উঠতে পারেনি, গেরুয়া- শিবিরের স্বার্থ রক্ষা করে ঠিক সেই কাজই করে দেখালো ভারতবর্ষের মানবাধিকার কমিশন৷ এই কমিশনকে বিজেপির ‘শাখা সংগঠন’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে রাজনৈতিক মহল৷ তাঁদের কথায়, বাংলার মানুষ ইতিমধ্যেই এক বিজেপি কর্মীকে রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলাতে দেখেছে,
এবার সাংবিধানিক এক কমিশনকে দেখা গেলো বিজেপির ফ্রন্টাল- অর্গানাইজেশন’ হিসেবে৷ রিপোর্ট এইভাবে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যেই আইনি পদক্ষেপ করার কথাও বলেছেন রাজ্যের এক মন্ত্রী ৷ প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টে পেশ করা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে ‘কুখ্যাত অপরাধী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা ও মন্ত্রীকে।

তাঁদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ বড়ভাবে উঠে আসায় বেকায়দায় পড়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন৷ কমিশনের মিডিয়া বিভাগ তড়িঘড়ি এক প্রেস- বিজ্ঞপ্তি জারি করে নিজেদের দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছে৷ ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিশন হাইকোর্টের নির্দেশে ওই তদন্ত করেছে৷ মুখবন্ধ করা খামে গত ১৩ জুলাই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টে ৷ এরপর আদালত ওই মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীদের রিপোর্টের কপি দেওয়ার নির্দেশ দেয়৷ ওই নির্দেশ মেনে কমিশন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের হাতেও তদন্ত রিপোর্টের কপি, যা আদালতে দাখিল করা হয়েছে, তা তুলে দেওয়া হয়েছে৷ মামলাটি এখনও বিচারাধীন৷ সুতরাং কমিশন ওই রিপোর্ট আদালত যাদের দিতে বলেছে, তাঁদের ছাড়া আর কাউকে দেয়নি৷ কমিশন ওই রিপোর্ট ফাঁসও করেনি৷

এই প্রেস-বিবৃতির প্রেক্ষিতে তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, বিজেপির হয়ে পরিকল্পিতভাবে ওই রিপোর্ট ফাঁস করে রাজ্য সরকার এবং শাসক দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছে কমিশন’ই৷
দায় এড়াতে কমিশন এখন যতই সাফাই দিক, আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিরুদ্ধেই৷ কমিশনের এই রিপোর্ট ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেও মন্তব্য করা হয়েছে৷

 

Previous articleসেনা-জঙ্গির গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত শ্রীনগর, নিহত ২ জঙ্গি
Next articleআগামী সপ্তাহে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ