বছর পনেরোর কিশোরী চাই, জঙ্গিদের বিয়ে দিতে তালিবানি ফতোয়া আফগানিস্তানে!

মার্কিন সেনা চলে যাওয়ার পর ফের আফগানিস্তানের(Afghanistan) বেশিরভাগ শহর দখল করে নিয়েছে তালিবানরা(taliban)। এরপরই অতীতের মতো ফের শুরু হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে ফতোয়া জারির পালা। সম্প্রতি আফগানিস্তানে তালিবানের দখল করা এলাকাগুলির ধর্মগুরুদের উদ্দেশ্যে এক নির্দেশনামা জারি করেছে তালিবান কালচারাল কমিশন। সেখানে বলা হয়েছে তালিবান যোদ্ধাদের বিয়ে দেওয়ার জন্য পাত্রী চাই। পাত্রীদের বয়স হতে হবে ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে। অথবা বিধবা হলে তাঁর বয়স ৪৫ এর নিচে থাকতে হবে। বিয়ের পর পাকিস্তানের(Pakistan) ওয়াজিরিস্তানের নিয়ে যাওয়া হবে এইসব মেয়েদের। সেখানে সবাইকে নিতে হবে মুসলিম ধর্ম। তালিবানের এহেন ফতোয়ার খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

মার্কিন বাহিনী আমেরিকা ছাড়ার পর ইতিমধ্যেই তালিবানের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে দেশের ৮০% তাদের দখলে। আর এই সমস্ত জায়গায় ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে তালিবানি শাসন। মহিলাদের স্বামী ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কেবলমাত্র পুরুষরাই অর্থ উপার্জনের অধিকারী। মহিলাদের ওপর চাপানো হয়েছে পণের ফতোয়াও। নতুন করে আফগানিস্তানের মাটিতে ফের সেই তালিবান শাসন শুরু হওয়ায় রীতিমতো ভয়ে কাঁপছেন সে দেশের অভিভাবকরা। আশঙ্কা করা হচ্ছে ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে মেয়েদের জঙ্গিদের হাতে তুলে দেওয়ার যে ফতোয়া জারি হয়েছে তা না মানলে এবার জোর করে বাড়ির মেয়েদের তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। এবং তাদেরকে যৌনদাসী বানিয়ে রাখা হবে।

আরও পড়ুন:কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক বাংলাদেশি! বিস্ফোরক টুইট ব্রাত্য বসুর

উল্লেখ্য, আমেরিকান সেনার হস্তক্ষেপের আগে ঠিক এমনই চেহারা ছিল আফগানিস্তানের। মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার ওপর জারি ছিল কড়া নিষেধাজ্ঞা। এমনকি পুরুষ সঙ্গী ছাড়া বাইরে বেরোনো বা কাজ করার ওপর কড়া বিধিনিষেধ জারি ছিল। আর এই নিয়ম না মানলে তালিবানের ধর্মীয় পুলিশ নৃশংস অত্যাচার করত মহিলাদের উপর। পুনরায় আফগানিস্তানের মাটিতে সেই ভয়াবহ অতীত ফিরে আসায় রীতিমতো তটস্থ সেখানকার মানুষ।

 

Previous articleরবিবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সৌরভের রেকর্ড ভাঙার সুযোগ ধাওয়ানের সামনে
Next articleরাষ্ট্রদ্রোহ আইনে ৫ কৃষক নেতা গ্রেফতার, প্রতিবাদে চাষিদের বিক্ষোভে উত্তাল হরিয়ানা