ড্যামেজ কন্ট্রোলে বিপ্লবের সাফাই, গ্রামে নতুন মানুষ এলে সবাই জিজ্ঞাসা করে; কারা এসেছে?

গত রবিবার থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে আলোচনার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু ত্রিপুরা। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের রাজ্যে তৃণমূল সংগঠন তৈরি করতেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপির চাপ। পুলিশ দিয়ে কখনও তৃণমূল কর্মী আবার কখনও আইপ্যাকের কর্মীদের হোটেল বন্দি করা হচ্ছে কিংবা আটক করা হচ্ছে। এমনকি তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকেও পুলিশি হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে এই ক’দিন কিছুই বলেননি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।

তবে এবার ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী । তিনি জানিয়েছেন, ত্রিপুরাবাসী অতিথিপরায়ন। যেটা পুলিশের কাজ পুলিশ করবে। তাতে রাজ্য সরকার হস্তক্ষেপ করবে না। অন্য কেউও হস্তক্ষেপ করবে না। কারণ ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী রাজ্য। সামনেই স্বাধীনতা দিবস। না জানিয়ে যদি কোনও গ্রুপ আসে। সেক্ষেত্রে প্রশাসনেরও দায়িত্ব থাকে। আমাদের গ্রামেও যদি দু’জন নতুন মানুষ আসে, তা-ও লোক জিজ্ঞাসা করে, কারা এসেছে? তিনি আরও বলেন, এইটুকুই জানতে চাওয়া হয়েছে। এর বেশি কিছু নয়। এখন কোভিডবিধি চলছে। জনজাতির মিলনস্থল ত্রিপুরা। আমরা সবাই মিলেমিশে আছি। আমরা এখানে সবাইকে স্বাগত জানাই। এটাই ত্রিপুরার সংস্কৃতি।
করোনা অতিমারীকে হাতিয়ার করে বিপ্লব দেবের পুলিশ যা অত্যাচার করেছে ও হেনস্থা করেছে তা হালকা ভাবে মেনে নিচ্ছে না তৃণমূল। সেই কারণেই আগামী সোমবার ত্রিপুরা সফরে যাচ্ছেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

Previous articleজলছবি: সুকিয়া স্ট্রিটে দ্রুত জল নামানোর কাজে পুরকর্মীরা
Next articleদেশে ফের বাড়ল সংক্রমণের হার, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৫৫৫