প্লাবিত রাজ্যের একাধিক জেলা,যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু প্রশাসনের

টানা বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত গোটা রাজ্য।জলস্তর বাড়ায় জলমগ্ন একাধিক জেলা। বহু এলাকায় ধসে পড়েছে বাড়িঘর।আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ।পাশাপাশি একটানা বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।  ইতিমধ্যেই বাঁধ মেরামতি ও উদ্ধারকার্যে নেমেছে প্রশাসন।

শিলাবতীর জলে প্লাবিত ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। চন্দ্রকোণা-ঘাটাল রাজ্য সড়কে বন্ধ যান চলাচল। নদীর পাড়ে মহকুমা শাসকের কার্যালয়ের পাঁচিল ভেঙে হু-হু করে জল ঢুকছে। জলে থৈ থৈ মহকুমা শাসকের কার্যালয়। একাধিক স্কুলে জল ঢুকে গিয়েছে। বেশ কয়েক জায়গায় শিলাবতীর বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করেছে প্রশাসন।ঘাটাল সংশোধনাগারে জল ঢুকে যাওয়ায় ৬১ জন বন্দিকে নিয়ে যাওয়া হয় মেদিনীপুর সংশোধনাগারে।

পাশাপাশি টানা বৃষ্টির জেরে মেদিনীপুর সদর ব্লকের বিশ্রিপাট এলাকায় ভেঙে পড়েছে তৃণমূলের পার্টি অফিস। এর আগে জলের গতিতে ভেঙে পড়ে কয়েকটি বাড়িও। অন্যদিকে  মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়ায় পাঁশকুড়ায় বিপদসীমার কাছাকাছি কংসাবতী নদীর জল। বেশ কয়েকটি জায়গায় নদী বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। পাঁশকুড়া পুর-এলাকায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই কয়েকটি এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে। যুদ্ধকালীন তৎপতায় কংসাবতীর বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর।

জলস্তর বাড়ায় জল ছাড়া হয়েছে ডিভিসিতে। ফলে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর ও আমতার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। উদয়নারায়ণপুরের হরিহরপুর, টোকাপুর শিবানীপুর, হোদোল, কুরচি- এই ৫টি জায়গায় বাঁধ ভেঙে দামোদরের জল ঢুকছে গ্রামে। উদয়নারায়ণপুর-তারকেশ্বর রাজ্য সড়কের ওপর দিয়ে বইছে জল। এর ফলে হাওড়া ও হুগলির মধ্যে যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। জলমগ্ন উদয়নারায়ণপুর হাসপাতাল ও কলেজ। আমতা ও উদয়নারায়ণপুরে উদ্ধারকাজে নেমেছে NDRF ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল।

Previous articleএবার ত্রিপুরা: আগামিকাল যাচ্ছেন অভিষেক
Next articleহলদিয়ার বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল নেতা