Monday, August 25, 2025

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে জীবনব্যাপী শিক্ষার স্থায়ী কাঠামো তৈরির বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

Date:

Share post:

১৯৬৫ সালে ইউনেসকোর উদ্যোগে তেহরানে অনুষ্ঠিত একটি শিক্ষা সম্মেলনে ৮ সেপ্টেম্বর সাক্ষরতা দিবস পালন করার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সব মানুষকে সাক্ষর করে বিশ্বব্যাপী একটি সাক্ষরসমাজ তৈরি করাই ছিল এই দিবস পালনের অন্যতম লক্ষ্য। এরপর থেকেই সারা বিশ্বে প্রতিবছর পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস।

করোনার স্থায়িত্বকাল বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী অনলাইনে পড়ানো চালু হয়ে গিয়েছে। এর ফলে এলাকাভিত্তিক জীবনব্যাপী শিক্ষার স্থায়ী কাঠামো তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে রাজ্য সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। দক্ষতা উন্নয়ন শিক্ষা, বয়স্ক শিক্ষা, শিশু শিক্ষা, বিনোদনমূলক শিক্ষা ইত্যাদি সব প্রতিষ্ঠানের আওতায় আনার নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছেন সকলে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়াতে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে সকলকে বার্তা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, সকলের চেষ্টার মাধ্যমে সাক্ষরতার মান বাড়াতে হবে। সকলের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থার দিকে বিশেষ নজর দিয়েছেন তিনি নিজের বার্তায়।
শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার শিক্ষা মানুষকে সমাজের আর পাঁচটা প্রাণীর থেকে আলাদা করে চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। সঠিক শিক্ষা কাঠামো গড়ে তোলা এবং যথাযথ শিক্ষা পদ্ধতি একটি দেশের উন্নয়নকে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে দিতে সহায়তা করে। তাই শিক্ষার খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে সারা দেশ জুড়ে। পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ টাকার বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। ১৯৬৭ সালে প্রথম যখন এই দিনটি উদযাপিত হয় তখন তার মূলত তিনটি লক্ষ্য ছিল। এক, ব্যক্তি বিশেষে সাক্ষরতার গুরুত্ব পৌঁছে দেওয়া। দুই, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে শিক্ষার মাহাত্ম্য এবং প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অবগত করে তোলা। সর্বশেষ এবং তিন, সমাজের কাছে সাক্ষরতার গুরুত্ব তুলে ধরা। এরপর থেকে জাতিসংঘের অন্তর্গত সমস্ত দেশে প্রায় এই দিনটির উদযাপন করে আসছে।

আরও পড়ুন –বিশ্বভারতীর ৩ পড়ুয়ার বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

প্রসঙ্গত সাক্ষরতার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয় । সমাজের সাংস্কৃতিক এবং মানসিক মুক্তি জন্য আমাদের প্রতিনিয়ত জীবনের শান্তি প্রতিষ্ঠা করা একমাত্র লক্ষ্য। কারণ, সাক্ষরতা শান্তি স্থাপনে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।

 

advt 19

 

spot_img

Related articles

কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি: দু-মলাটে বাংলার দুর্গোৎসবের ৪৩৪ বছরের ইতিহাস

রবিবাসরীয় সন্ধেয় গড়িয়াহাটের একটি ব্যাঙ্কয়েটে আড্ডার আবহে প্রকাশিত হল সাংবাদিক-লেখক সম্রাট চট্টোপাধ্যায়ের বই 'কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি'। উপস্থিত...

তৃণমূল–সমাজবাদী পার্টির পথে এবার আম আদমি পার্টি! জেপিসিতে থাকছে না আপও 

সংবিধান সংশোধনী বিল খতিয়ে দেখতে গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিল আম আদমি পার্টি।...

মোদির বিরুদ্ধে সরব! হিটলারি কোপে লাদাখের সোনম ওয়াংচু

দফা এক দাবি এক। লাদাখের জন্য একই দাবিতে আজও অনড় সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচু (Sonam Wangchuk)। লাদাখের জমি, যা...

শান্তিপুরে মহিলা স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর ভোটে গোহারা বিজেপি! ২৬-৪-এ জয়ী তৃণমূল 

এসআইআর ইস্যু নিয়ে রাজ্যে বিজেপির মাতামাতির মধ্যে নদিয়ার শান্তিপুরে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্লাস্টার কমিটির নির্বাচনে বড় সাফল্য পেল...