হু হু করে ভাইরাল ফিভারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে উত্তরবঙ্গে

ধূপগুড়ি, মালবাজার ও বানারহাট হাসপাতালে  ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। মঙ্গলবার বিকেল থেকে ধূপগুড়ি হাসপাতালে ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে পরিবারের লোকেদের লাইন পড়ে যায়। অধিকাংশ শিশুর জ্বর, মাথাব্যথা আবার কারো কারো ক্ষেত্রে পেট খারাপ নিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসকের কাছে এসেছেন।

বানারহাট হাসপাতালে প্রায় ১০০ জনের মত রোগী ভাইরাল ফিভার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা করাতে আসেন, যাদের মধ্যে কয়েকজন রোগীকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে ওষুধ নিয়ে বাড়ি চলে যান।

আরও পড়ুন: বিজেপি প্রার্থীকে দেখে “জয় বাংলা” স্লোগান তৃণমূলের”! ববি বললেন গণতান্ত্রিক অধিকার

একই ছবি ধূপগুড়ি হাসপাতালেও। ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত ৪ জন শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে ধূপগুড়ি হাসপাতালে দিন। প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসার তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।  করোনার আতঙ্কে অধিকাংশ পরিবার শিশুদের হাসপাতলে ভর্তি রাখতে চাইছে না। কিন্তু যে সমস্ত শিশুদের অবস্থা আশঙ্কাজনক অথবা খারাপ মনে করছেন চিকিৎসকরা তাদের ভর্তি রাখা হচ্ছে স্থানীয় হাসপাতালে। অথবা রেফার করে দেওয়া হচ্ছে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত কয়েক দিনে মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে প্রায় ৮১ জন ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন।
অন্যদিকে বানারহাট হাসপাতালে ১০০ জন রোগী ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার আউটডোরে চিকিৎসককে দেখিয়ে ওষুধ নিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছেন।

ধূপগুড়ি হাসপাতালে শতাধিক রোগী ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত হয়ে এসেছিলেন আউটডোরে।  যারা বাইরে থেকেই চিকিৎসকে দেখিয়ে ওষুধ নিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছেন। শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি রাখার সাহস পাননি, তবে যে চারটি শিশুর জ্বর কোনোভাবেই কমছে না তাদের ধূপগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে মঙ্গলবার। একজনকে ধূপগুড়ি হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে। এমনটা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। এ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে একটি সাংবাদিক সম্মেলনও করেন ওএসডি ডাঃ সুশান্ত রায়।

advt 19

 

Previous article“মানুষ ক্ষমা করবে না”, বিপ্লব সরকারের বিরুদ্ধে ফের ঝাঁঝালো আক্রমণ সুদীপ রায় বর্মনের
Next articleঅসম্মানজনক: ষাঁড়-গরুর সঙ্গে এক বন্ধনীতে মহিলাদের রাখলেন আদিত্যনাথ! নিন্দা সব মহলে