ইস্যু কৃষক আন্দোলন। তাকে মাথায় রেখেই জুতো, চটি দিয়ে সেজে উঠেছে দমদম পার্ক ভারতচক্র পুজো কমিটির মণ্ডপ। আর তাতেই বিপত্তি। একাংশের অভিযোগ জুতো ব্যবহারে মণ্ডপ সজ্জায় ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানছে। শুধু এখানেই শেষ নয়। এই অভিযোগ এনে রীতিমত পুজো কমিটির বিরুদ্ধে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে।এমনকী এনিয়ে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন রাহ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Shuvendu Adhikary)।
আরও পড়ুন:বোধনের আগে চতুর্থীতেই শুরু হয়ে গেল পুজো, ভিড় সামলাতে নামল পুরো ফোর্স
দীর্ঘদিন বাদে এই ট্রাক্টরের যুগে এ দেশ রক্তঝরা এক লড়াই চাক্ষুষ করছে। সাক্ষী হয়েছে লখিমপুরের মর্মান্তিক ঘটনারও। আর সেই প্রেক্ষাপটেই মণ্ডপের দেওয়াল লিখন, “মোটরগাড়ি ওড়ায় ধুলো, পিষে মরে চাষিগুলো।” যা বাস্তবে শাসকদের কঙ্কালসার চেহারাটাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। আর তাই বাংলার সীমানা পেরিয়ে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই পুজো। কিষান মোর্চার সদস্যরাও আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে এই পুজোর থিমকে। এসেছে লখিমপুর খেরিতে (Lakhimpur Kheri) কৃষকদের উপর গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনার দৃশ্যায়নও।
কিন্তু এহেন ঐতিহাসিক থিম ফুটিয়ে ওঠাতেই জুতো, চটির ব্যাবহার করা হয়েছে। যাতে আপত্তি তুলেছেন আইনজীবী পৃথ্বীবিজয় দাস। নোটিসে তিনি লিখেছেন,”আমি একজন সনাতন হিন্দু। জুতো দিয়ে মণ্ডপ সাজানোর পরিকল্পনা মেনে নিতে পারছি না। এটা আমাদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে।” মণ্ডপ থেকে জুতো সরানো না হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি রয়েছে চিঠিতে। পুজো কমিটি জানিয়েছে, ওই নোটিস জবাব আইনি পথে দেওয়া হবে। ভেবেচিন্তেই এমন থিম বাছা হয়েছে।
A Durga Puja pandal in Dumdum Park has been decorated with shoes.
This heinous act of insulting Maa Durga in the name of "Artistic liberty" won't be tolerated.
I urge the Chief & Home Secretary @egiye_bangla to intervene & compel the organizers to remove the shoes before Shashti. pic.twitter.com/h3uQPbNIpS— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) October 9, 2021
অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের নেতা শুভেন্দু অধিকারী(Shuvendu Adhikari) টুইটে প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেছেন, দমদম পার্কের দুর্গাপুজো মণ্ডপ জুতো দিয়ে সাজানো হয়েছে। শিল্পের স্বাধীনতার নামে এই ধরনের জঘন্য কাজ সহ্য করা হবে না। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে পদক্ষেপ করতে আবেদন করেছেন বিরোধী দলনেতা। পাশাপাশি তিনি রাজ্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়ে লিখেছেন, ”ষষ্ঠীর আগে মণ্ডপ থেকে জুতো সরিয়ে দিতে বাধ্য করা হোক উদ্যোক্তাদের। এব্যাপারে এগিয়ে বাংলার মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের হস্তক্ষেপের আর্জি করছি।”