স্কুল খুললে মানতে হবে কড়া বিধিনিষেধ

প্রায় ২ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে খুলছে স্কুল-কলেজ। স্বভাবতই ক্লাসরুম,খোলা টিফিন বক্সের টানে খুশির মেজাজ ছাত্রছাত্রীদের। অনলাইন ক্লাস ছেড়ে স্কুলে এসে ছাত্রছাত্রীদের সামনে ক্লাস করতে পারায় খুশি শিক্ষক শিক্ষিকারাও। যদিও প্রথম পর্যায়ে নবম থেকে দ্বাদশ, চারটি শ্রেণির জন্য স্কুল খোলা হবে। তাই স্কুল খোলার পূর্বে পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে জোরকদমে ক্লাসরুম-সহ স্কুলের পরিকাঠামো সংস্কারের কাজ চলছে। সংস্কারের জন্য ৭৫০টি স্কুল শিক্ষা দফতরের পোর্টালে আবেদন করেছিল। ৩৬০টি স্কুলের সংস্কারের জন্য ৭ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর।

 

আরও পড়ুন:ভারতের ৭২ তম গ্র‍্যান্ডমাস্টার হলেন বাংলার মিত্রভা গুহ

স্কুল খোলার প্রসঙ্গে জেলার এক শিক্ষক বিশ্বনাথ সাহা, প্রধান শিক্ষক আনারুল মণ্ডলরা বলেন, স্কুল খুললে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি ঠিকঠাক মেনে চলেন, সেই বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। তবে বিধিনিষেধ সম্পর্কে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে পরামর্শ করে ইতিমধ্যেই একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে শিক্ষা দফতর। ২৮ পাতার এই ‘স্কুল রিওপেন বুকলেট’-এ যেসব বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল, প্রত্যেক পড়ুয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাকে মাস্ক পরে আসতেই হবে। স্কুলে একটি আইসোলেশন রুম থাকবে। কেউ অসুস্থ হলে যাতে স্থানান্তরিত করা যায়। প্রয়োজনে দুই শিফটে ক্লাস হতে পারে। ক্লাসঘর নিয়মিত স্যানিটাইজ করতে হবে। জ্বর হলে পড়ুয়াকে যেন অভিভাবকরা স্কুলে না পাঠান, বন্ধুদের গায়ে গায়ে না থাকা, একই পাত্রের টিফিন ভাগ করে না খাওয়ার মতো বিষয়গুলি সম্পর্কে অভিভাবকরা যাতে সতর্ক করে দেন, সেটিও বুকলেটে উল্লেখ করা হয়েছে। আছে ‘ডু অ্যান্ড ডু নটে’র তালিকাও।

Previous articleকরোনা কাঁটা! ছটপুজোয় বন্ধ থাকবে রবীন্দ্র সরোবরের গেট
Next articleরাজ্য মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদল: মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই অর্থ দফতর