TMC in Tripura: বাংলার মানুষ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী পেলে ত্রিপুরাবাসী পাবে না কেন? প্রশ্ন ইন্দ্রনীলের

বাংলার (West Bengal) মানুষ যদি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী পায় তাহলে আপনারা পাবেন না কেন? পুরভোটের আগে ত্রিপুরা (TMC in Tripura) সফরে গিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন (MLA Indranil Sen)।

তাঁর কথায়, “আপনারা যারা বাড়ির মহিলারা রয়েছে কেন তাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন না? বাড়ির মেয়েরা কেন কন্যাশ্রী পাবে না? আপনারা বলুন ত্রিপুরার মানুষ কেন দুয়ারের রেশন পাবেন না? কেন বিনা পয়সায় খাদ্য পাবেন না?”

ইন্দ্রনীল আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২ লক্ষ ২২ হাজার কোটি টাকা দেনা মাথায় নিয়ে ২০১১ সালে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এবং বারংবার প্রতিনিয়ত কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাজার হাজার কোটি টাকা বকেয়া আমরা এখনো কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে পাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমাণ করেছেন তিনি হলেন স্বপ্নের ফেরিওয়ালা।”

এদিন ইন্দ্রনীল বলেন, “শুধু ত্রিপুরার মানুষ নয় সারা দেশের মানুষ জানে ২০১৪ সালে যখন বিজেপি সরকার কেন্দ্রে এসেছিলো তখন বলা হয়েছিল ছ’মাসের মধ্যে আপনাদের অ্যকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা পৌঁছে যাবে। একজন কেউ যদি ত্রিপুরার মানুষ বলতে পারেন ১৫ টাকা আপনাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে কেন্দ্রীয় সরকার, মোদি অমিত শাহের কথামতো, আমি আপনাদের কথা দিয়ে যাচ্ছি শুধু গান-বাজনা নয় রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করব এই ত্রিপুরাতেই (TMC in Tripura) বসে।”

আরও পড়ুন: মমতা সরকারের অনুকরণ! মধ্যপ্রদেশে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের সূচনা নরেন্দ্র মোদির

এদিন ইন্দ্রনীল বলেন, “২০২৩-এর ভোটে ১০০ শতাংশ প্রতিফলন আমরা পাব তা আমরা জানি।”

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সুবল ভৌমিক (Subal Bhowmik) বলেন, “ত্রিপুরাতে নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হওয়ার পরেও বাড়ি দেওয়ার নামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) যে টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন তা আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন। পাশাপাশি ত্রিপুরাতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশের পরও এগারোটি জায়গায় হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং এফআইআর (FIR) দায়ের হয়েছে। আজ আরও দুটি জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ওপর।”

বিধায়ক মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwari) বলেন, “ত্রিপুরার সঙ্গে আমার যোগ দীর্ঘদিনের অনূর্ধ্ব 19 দলের হয়ে খেলার সময় আমি ত্রিপুরার ক্যাপ্টেন ছিলাম। তখনও দেখেছি আজও দেখছি ত্রিপুরা রাজ্যের কোন উন্নয়ন নেই। ত্রিপুরায় উন্নয়নের জোয়ার আনতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেমনটা এসেছে পশ্চিমবঙ্গে। অতীতের পশ্চিমবঙ্গ আজকের পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে বিস্তর ফারাক।”

 

Previous articleTripura: সাম্প্রতিক হিংসা নিয়ে খবর করে ত্রিপুরা সরকারের রোষের মুখে দুই মহিলা সাংবাদিক
Next articleTonic: আসছে ‘টনিক’, চমক দেবেন দেব!